খাগড়াছড়িতে সরকারী রাবার গাছ লাকড়ি হিসেবে বিক্রি! জানেনা কর্তৃপক্ষ

পিবিএ,দীঘিনালা: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সৃজিত সরকারী রাবার বাগানের রাবার গাছ কেটে উজাড় করে বিক্রয় করা হচ্ছে লাকড়ি হিসেবে।
বাগানের পর বাগান এভাবে উজাড় করা হলেও বিষয়টি কতৃপক্ষ্যের জানা নেই বলে দাবী করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাবার বাগান উজাড়ের সংবাদ পেয়ে গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে বোয়ালখালি ইউনিয়নের ১নং যৌর্থ খামার (কড়ইতলি) এলাকায় গিয়ে দেখা
প্রায় ১০-১৫ একর জায়গার বাগান গত কয়েকদিনে কেটে সাবার করা হয়েছে। সেসব গাছের গুড়ালি থেকে এখনো ঝড়ছে রাবার কস। এর পরের অংশে নতুন করে কাটা হচ্ছে বাগানের রাবার গাছ।
৪জন শ্রমিক গাছ কাটায় ব্যাস্ত থাকলেও তারা নিজেদের নাম পরিচয় দিতে রাজি হননি। তবে তারা জানান,তাদের প্রতিজনে দৈনিক ৪০০টাকা মজুরীতে কাজ করছেন। কাজ করাচ্ছেন সে এলাকার শাক্ক্য চাকমা।

শ্রমিকদের নিকট থেকে শাক্ক্য চাকমার মোবাইল নাম্বার নিয়ে তাঁকে ফোন দেওয়া হয়। রাবার গাছ বিক্রয়ের কথা প্রথম স্বীকার করেন শাক্ক্য। পরে প্রতি গাড়ি কত টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।


পার্বত্য চট্টগ্রামের রাবার বাগান ব্যবস্থাপনা ইউনিট সূত্রে জানা যায়, দীঘিনালার রাবার বাগান দেখভাল করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের দীঘিনালা অফিসের সুভাষ চাকমা।
ফোনে জানতে চাইলে সুভাষ চাকমা জানান, ১নং যৌর্থ খামার (কড়ইতলি) এলাকার সে বাগানটি কাটারুং ১নং প্লটের আওতাধীন। সে এলাকায় কোন ব্যাক্তিগত বাগান নেই; সকল বাগান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের। তবে রাবার বাগান কেটে লাকড়ি হিসেবে বিক্রয় করার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের খাগড়াছড়ি কার্যালয়ের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন রাবার বাগান দীঘিনালা ইউনিটের ব্যবস্থাপকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, গত বছরের ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আর বর্তমানে বাগান কাটার বিষয়টি তিনি জানতেন না। বুধবার জানার পর অফিসের একজনকে বলা দেওয়া হয়েছে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

পিবিএ/এসআর/হক

আরও পড়ুন...