পিবিএ ডেস্ক : আবারও মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত পাঁচ রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার বিকেলে একদল রোহিঙ্গা যখন বাঁশ কাটার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তখন তাদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে তাদেরকে হত্যা করা হয়।
হামলায় অপর অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় গ্রাম্য নেতা জাকির আহমেদ জানিয়েছেন, রাখাইনের বুথিডং শহরের কাছে অবস্থিত রোহিঙ্গা গ্রাম কিন তুয়াংয়ে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় আমাদের গ্রামের চারজনসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়। গ্রামের মানুষ এখন আতঙ্কে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।”
স্থানীয় আইন প্রণেতা মাউং কিয়াউ জান জানিয়েছেন, বিমান হামলায় আহত ব্যক্তিদেরকে বুথিডং শহরের হাসপাতালে নেয়ার পথে বেশ কয়েকজন মারা গেছে। তিনি জানান, পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় শ্রমিক রশিদ আহমেদ বলেছেন, তার বড় ভাই, চাচা ও চাচাতো ভাইকে গুলি করা হয়েছে। তারা যখন বাঁশ কাটছিলেন তখন তাদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়। অন্য দু’জন গ্রামবাসীও হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করে বলেছেন, মাটিতে কারো সঙ্গে কারো কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
মিয়ানমারে অবস্থানরত আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির কর্মকর্তা স্টেফান সাকালিয়ান বুথিডং হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বলেছেন, তিনি আহত ১৩ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে দেখেছেন যাদের কয়েকজনের শরীরে তাৎক্ষণিক অস্ত্রপচার প্রয়োজন।
মিয়ানমারের একজন সেনা মুখপাত্র এ ঘটনার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে সেনাবাহিনীর তথ্য কমিটির উপপ্রধান মেজর জেনারেল তুন তুন নি বলেছেন, এ ঘটনার ব্যাপারে যথাসময়ে ‘সত্য খবর’ প্রকাশ করা হবে।
পিবিএ/জেডআই