‘জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছি’

গণভবনে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখছেন ওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পিবিএ,ঢাকা: ওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিকল্পিত কাজ করে জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছি। সেই আস্থা আর বিশ্বাস থেকেই এবারও সরকার গঠন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা যে ১০০টি শিল্পাঞ্চল করছি তাতে সোয়া কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফলে কোনো লোক বেকার থাকবে না, বেকার থাকার কথা না।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করব। আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়ন বৈষম্য কমানো। গ্রামের মানুষ যেন শহরের সুবিধা পায় সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেছেন, দেশে শান্তি ফিরিয়েছি। উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে। জনগণ উন্নয়ন চায়। শান্তি চায়। সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়। আমরা দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। তাতে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা আর বিশ্বাস অর্জন করেছে। এজন্যই আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়।

এসময় তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে ছিল অর্থনৈতিক মন্দা। দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। এদের অপকর্মে দেশেটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছিল। শান্তিতে চলাফেরা করতে পারতো না মানুষ। চুরি-ডাকাতি বা সন্ত্রাসবাদ এমনকি মাদকের বিস্তার ছিল দেশে। আয়ের তুলনায় ব্যয় ছিল বেশি মানুষের। যে কারণে দেশের মানুষ তাদের ক্ষমতাচ্যূত করেছে। তাদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হলে, দেশ লুট করে খাবে- এটা বুঝতে পেরেছে জনগণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের পরিচালনায় দেশে শান্তি ফিরেছে। মানুষ নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ পাঁচে থেকে আমরা কথা বলছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এখন। প্রবৃদ্ধিতে অনেক দেশ ছাড়িয়ে গেছি। আগামীতে ৮ এর বেশি প্রবৃদ্ধি হবে আমাদের। সেভাবেই আমরা পরিচালনা করছি।

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, বিএনপির আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনে বাড়িঘরে থাকতে পারেননি নেতাকর্মীরা। এমনকি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নগদ টাকাসহ অনেক সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়েছিল বিএনপি। মিথ্যায় মামলায় আমাদের জর্জরিত করতে চেয়েছিল। আমাদের দলীয় কার্যক্রমের কোনো সুযোগই ছিল না।

গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, আমরা বিএনপির নামে কোনো মিথ্যা মামলা দিচ্ছি না। খালেদা জিয়ার মামলা আমরা করিনি। এতিমের টাকা খেয়ে পার পেয়ে যেতে পারেননি, তাদেরই লোকের দেওয়া মামলায় তিনি জেলে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে আসেনি। তারা বাণিজ্যক্ষেত্র বানিয়েছিল। টাকা খেয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় আগ্রহ ছিল না তাদের। নির্বাচন উপলক্ষে বাণ্যিজ্য করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির। যা জনগণ মেনে নিতে পারেনি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন জরিপ বলেছিল, আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসছে। আমাদেরও বিশ্বাস ছিল জনগণ আমাদের বারবার চায়। সে বিশ্বাস আমরা বাস্তবে দেখেছি। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ২০০৮-এর নির্বাচনেও কোনো প্রশ্ন ছিল না। এছাড়া জনগণের সেবা করতেই আমরা নির্বাচন করি।

বাণ্যিজের কারণেই বিএনপি জিততে পারেনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, লন্ডন থেকে ওহি আসে, আর সে হিসেবে বিএনপি নেতারা প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন বিপুল টাকার বিনিময়ে। এভাবে ক্ষমতায় আসা যায় না। চোর হওয়া যায়।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...