পিবিএ ডেস্ক: পেশার বোলার আল আমিন হোসেনের টর্নেডো বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না বিকেএসপি। প্রাইম ব্যাংকের ছুড়ে দেওয়া ২২৩ রানের মাঝারি টার্গেট পার হতে মাত্র ২২ ওভার স্থায়ী ইনিংসে সর্বসাকুল্যে তুলতে পারলো মাত্র ৫০ রান। আর ১৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেলো প্রাইম ব্যাংকে। এই জয়ে পেসার আল-আমিন হোসেন একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ফতুল্লায় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিকেএসপির ১০ ব্যাটসম্যান দুই অংকও ছুঁতে পারেননি। তিন ব্যাটসম্যান তো রানই করতে পারেননি। ২ রান করে করেছেন ৪ ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ১৫ রান এসেছে পারভেজ হোসেইন ইমনের ব্যাট থেকে, তাও ৩৭ বলে।
বিকেএসপির প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের ৫জনই এই ডানহাতি পেসারের শিকার। এই ৫ উইকেট নিতে ৮ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেছেন তিনি। ২টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন নাঈম হোসেন, তাও ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচে। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মনির হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক (১ ওভারে কোনো রান না খরচ করেই ১ উইকেট)।
এর আগে অভিমন্যু ঈশ্বারানের ৯২ রান ও নাহিদুল ইসলামের ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক। অভিমন্যুর ১০৯ বলে ৯২ রানের ইনিংসটি ২টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো। আর ফিফটি করতে ৭০ বল খেলেন নাহিদুল। বলার মতো রান পাননি প্রাইম ব্যাংকের আর কেউই।
বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন বিকেএসপির সুমন খান, নওশাদ ইকবাল ও হাসান মুরাদ।
এই জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের তিনে উঠে এলো প্রাইম ব্যাংক। আর ৯ ম্যাচে মাত্র ২টি জয় নিয়ে নবম স্থানে বিকেএসপি।
পিবিএ/এএইচ