ম্যাক্স দুর্ঘটনায় ৭৩৭ উৎপাদন কমালো বোয়িং

boing-737-airplane-PBA
বিশ্বের বহু দেশ এ মডেলের প্লেনের ব্যবহার বন্ধ (গ্রাউন্ড) রেখেছে

পিবিএ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় বোয়িংয়ের ‘৭৩৭’ মডেলের প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার পর এ মডেলের প্লেন প্লেনের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং। কারণ পরপর দুটি দুর্ঘনায় ৩৪৬ জন যাত্রী প্রাণ হারানোর পর বিশ্বের বহু দেশ এ মডেলের প্লেনের ব্যবহার বন্ধ (গ্রাউন্ড) রেখেছে এবং নতুন অর্ডারও আসছে না।

ইতোমধ্যে বোয়িং কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে উৎপাদন কমানোর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ।

বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, প্রতি মাসে এ মডেলের ৫২টি প্লেন উৎপাদন করতো বোয়িং। তবে এখন তা কমিয়ে ৪২-এ আনা হয়েছে।

বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস মুইলেনবার্গ বলেন, এ মডেলের প্লেনে যে ঝুঁকি রয়েছে, আমাদেরই দায়িত্ব তা অপসারিত করা। আমরা জানি কিভাবে তা করতে হয়।

বিবৃতিতে তিনি স্বীকার করেন, অ্যান্টি-স্টলিং সিস্টেমে ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে।

তিনি বলেন, এ মডেলের প্লেনের অ্যান্টি-স্টল সিস্টেম (এমসিএএস সফটওয়্যার) আপডেটের জন্য কাজ করছে বোয়িং। পাশাপাশি ম্যাক্স চালকদের জন্য নতুন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।

এদিকে যাত্রীদের আস্থা ফেরানোর জন্য সংস্থাটি সব ধরনের কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী ডেনিস মুলেনবার্গ।

মুলেনবার্গ বলেন, অ্যান্টি-স্টলিং সফটওয়্যারের ত্রুটি সংশোধন এবং পাইলটদের জন্য নতুন নির্দেশিকা দেওয়ার পর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স হবে সবচেয়ে নিরাপদ বিমান।

গত মার্চে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমান বন্দর থেকে ইথিপিয়ান এয়ারলাইন্সের ‘৭৩৭ ম্যাক্স’ মডেলের প্লেনটি উড্ডয়নের ৬ মিনিট পরই বিধ্বস্ত হয় এবং এর ১৫৭ আরোহীর সবাই নিহত হন।

এর মাত্র পাঁচ মাস আগে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের এ মডেলের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে প্লেনে থাকা ১৮৯ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...