পিবিএ ডেস্ক: এনটিভির সাবেক রিপোটার সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী ইয়াসমীন নদী শনিবার রাতে মারা গেছেন। কিছুদিন আগে দুবৃত্তের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন । গত বছর সোহান লিভার ক্যানসারে হঠাৎ মার যান। গতকাল মারা গেলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁদের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। এখন তাঁদের কী হবে? ওরা এখন কোথায় যাবে, কী নিয়ে বাঁচবে? পৃথিবীর সব চেয়ে প্রিয়, সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বাবা-মাকে হারালো ওরা। অল্প সময়ের ব্যবধানে বাবা ও মা’ দু‘জনই ওদের ছেড়ে বিদায় নিল।
সোহানের মৃত্যুর পর ছেলে দু‘টি নিয়ে কোনো রকম একটু বেঁচে থাকাতে জীবনযুদ্ধে নেমে ছিলেন ইয়াসমীন নদী। সন্তান দু‘টিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন নতুন দিনের। স্বামীর ক্রয়করা জমিতে বন্দর থানার মদনপুরে কোনো রকম ঠাঁই নিয়ে ছিলেন। সেখানে চার শতাংশ জমি দখল করে ছিল নদীর বড় ভাই সন্ত্রাসী পারভেজ। দুই সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে বড় ভাইয়ের দখল থেকে সেই জমি বুঝে নিতে গিয়েছিলেন নদী। সেখানেই গত ১৩ মার্চ নদীর ওপর নির্মমভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্বৃত্তরা। ২৪ দিনের মাথায় মৃত্যু হলো তার ।
সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো- এ ঘটনায় নদীর ছোট ভাই তরুন মিয়া বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেছিলেন। পারভেজসহ চারজনকে আসামী করা হয়। এই মামলার একজন আসামীকেও পুলিশ আটক করেনি। একটি সাংবাদিক পরিবারকে এভাবে নি:শেষ করে দেয়ার ঘটনাটি যেনো স্বাভাবিক ব্যাপার। যেখানে জোরে শব্দ করলেও কারো পালিয়ে থাকার উপায় নেই। ঠুনকো ঘটনায়ও কোমড়ে রশি বেঁধে ধরে আনা হয় । সেখানে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলেও আসামী গ্রেফতার হয় না! হত্যা চেষ্টা/হত্যা মামলার আসামীদের ২৪ দিনেও পুলিশ আটক করতে পারেনি! সোহানের শ্যালক তরুন মিয়া জানান, পুলিশ নাকি বাড়িতে গিয়ে ঘুরে গেছে। পুলিশ বলছে-আদালত থেকে জামিন নিয়েছে আসামী।
পিবিএ/এএইচ