রাজশাহীতে মদপানে বিদেশী ও ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

mod-PBA

পিবিএ,রাবি: অতিরিক্ত মদপানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে একজন অর্থনীতি বিভাগের, অন্যজন আইন বিভাগের ছাত্র। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর জানান, শনিবার রাতে নগরীর মোন্নাফের মোড় এলাকার একটি মেসে ওই দুই শিক্ষার্থী মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

রাতেই তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন থেকে তাদের মৃত্যু হয়।

অপরদিকে,

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বেলি দিমিত্রী (৪১) নামে এক রাশিয়ান প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, মদপানের বিষক্রিয়ায় ওই প্রকৌশলী মারা গেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় বেলি দিমিত্রী নামে ওই প্রকৌশলীকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় আরও তিন রাশিয়ান প্রকৌশলীকে অসুস্থ অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে মিকায়েল দিমা ও লোগেচেভ লেভ নামে দুই প্রকৌশলী হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

অপর এক প্রকৌশলীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। নিহত বেলি দিমিত্রীসহ ওই চার প্রকৌশলী পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।

এ ব্যাপারে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, গত শুক্রবার রাতে রাশিয়ান চার প্রকৌশলী মদপান করেন। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার সন্ধ্যায় তাদের পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

অসুস্থ প্রকৌশলীরা রামেক হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের পরীক্ষা করেন। পরে বেলি দিমিত্রীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাফিস রহমান জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই একজনের মৃত্যু হয়। তিনজনের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর একজন সুস্থ আছেন। আমরা ধারণা করছি, মদপানের বিষক্রিয়ায় ওই প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান আরও জানান, মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মরদেহ কার কাছে হস্তান্তর করা হবে- সে ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

 

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...