৬১৪ চরমপন্থী অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন

পিবিএ,পাবনা: আগামী ৯ এপ্রিল পাবনা শহীদ এ্যাড: আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলার ৬১৪জন চরমপন্থীদের আগ্নেয় অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাড: শামসুল হক টুকু এম.পি।

রবিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, স্বাধীনতার পর সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে পাবনাসহ উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি। তারা ধনীর সম্পদ গরিবের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার কথা বলে এসব এলাকায় হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করে।

আশির দশক থেকে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা বিভিন্ন দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে এসব এলাকার দুর্গম চরাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করে। বর্তমানে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে চরমপন্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহজেই ধরা পড়ে যাচ্ছে। এ কারণেই সক্রিয় চরমপন্থী দলগুলো এখন অনেকটাই কোণঠাসা। ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ঘোষণা দিয়ে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাবনাসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলার প্রায় সাত শতাধিক চরমপন্থী সদস্য। আগামী ৯ এপ্রিল পাবনার শহীদ এডভোকেট আমিনউদ্দিন স্টেডিয়ামে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান এসব চরমপন্থী দলের সদস্যরা। আত্মসমর্পণের পর তাদের আত্মনির্ভশীল করতে সরকারি প্রণোদনা দেয়া হবে। আবারও তারা অপরাধে যুক্ত হচ্ছে কিনা, সে ব্যপারে নজরদারি থাকবে।
পাবনা জেলা পুলিশের একটি তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত চরমপন্থী দলগুলো অন্তঃকোন্দল ও পুলিশি অভিযানে মারা গেছে ১৯৭ জন।

আগামী ৯ এপ্রিল পাবনায় বাবলু প্রামাণিকের নেতৃত্বে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি ( লাল পতাকা) এবং ইউসুফ ফকিরের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলার সর্বহারা দলের ১৬০ জন চরমপন্থী সদস্যের অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের কথা রয়েছে।

পিবিএ/এমআর/হক

আরও পড়ুন...