পিবিএ,কুড়িগ্রাম: বিলুপ্ত ছিটমহল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাধীন বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার ১’শ বাড়ীর জন্য গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পে হাজার হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে রিং ওয়েল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নলকুপ মেকানিক সাইফুর রহমান ও দাসিয়ারছড়া বটতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে টাউট আব্দুল গনির যোগসাজাশে ঘুষের টাকা উত্তোলন করে। স্থানীয় দাসিয়ারছড়ার বটতলা কামালপুর গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে সহিদুল ইসলামের নিকট থেকে ৫ হাজার, একই গ্রামের মইনুদ্দিনের ছেলে আবুবক্কর সিদ্দিকের ৫ হাজার, সামছুল হকের ছেলে মোবারক ২ হাজার, মৃত গিয়াস উদ্দিনের আফজালের ৫শত, শামছুল হকের ছেলে মোশাররফের ২ হাজার, মৃত জুব্বা তালুকদারের ছেলে ছালামের ২ হাজার, মৃত হাশমত আলীর ছেলে হামিদের ৫ হাজার হামিদের ছেলে শফিকুল ইসলামের ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানান।
ছিটমহল স্বাধীন হওয়ার পর বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তা, মসজিদ, মন্দির, কৃষি, আইটি প্রশিক্ষন থেকে সব রকমের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন ওই এলাকায়। কিছু অসাধু চাকুরিজীবি ও স্থানীয় দালালের মাধ্যমে সরকারের সফলতা ভুলন্ঠিত করার লক্ষ্যে তৎপর রয়েছে। ফলে বিলুপ্ত ছিটমহল উন্নয়নে বাধা গ্রস্থ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই এলাকায় সুপেয় পানি ও শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা করার জন্য ১ শ’ পরিবারে এগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া কেউ কেউ ঘুষ দেওয়ার অস্বিকার করায় বরাদ্দকৃত মালামাল ফেরৎ নেওয়ারও হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এদিকে কিছু অসাধু কর্মচারী ও দালাল নিজের আখের গোছার জন্য প্রকাশ্যেই প্রতিটি রিং টিউবয়েলের জন্য ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পযর্ন্ত ঘুষ নিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নলকুপ মেকানিক সাইফুর রহমান পিবিএকে জানান, আমি কোন ধরনের ঘুষ গ্রহন করি নাই। যারা অভিযোগ করেছে তারা মিথ্যা বলছে।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অতি:দা:) মোঃ সারওয়ার কামাল শুভ জানান, আমি ঘুষের বিষয়ে জানিনা। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
পিবিএ/এফএস