লাকীকে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য করার দাবী


পিবিএ,দীঘিনালা: খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদীকা মাহমুদা বেগম লাকীকে পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ির মহিলা সদস্য করার দাবী করেছেন দিঘীনালা উপজেলাবাসী ও দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা মনে করেন, বঞ্চিত ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন, জীবনমান উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক নেত্রী মাহমুদা বেগম লাকী পাহাড়ী-বাঙ্গালী ভেদাভেদা ভূলে সবাইকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলাকে নারী নেতৃত্বেকে আরো এগিয়ে নিয়ে কাজ করতে পারবে নারী আসন থেকে।

বর্তমানে এ পরিষদ জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশা অর্জনে সক্ষম হওয়ায় এ জেলার উন্নয়ন ও প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০১৪ সালের সংশোধিত আইনের মাধ্যমে বর্তমানে ০১জন চেয়ারম্যান (উপজাতি) এবং ১৪ জন সদস্য (১০জন উপজাতি এবং ০৪জন অউপজাতি) নিয়ে অন্তরবর্তীকালীন পরিষদ দায়িত্ব পালন করছে।

মাহমুদা বেগম লাকী ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হন, পরবর্তীতে দিঘীনালা উপজেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিলে ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক নির্বচিত হন।
১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দিঘীনালা উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দিঘীনালা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন, ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দিঘীনালা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন, পরবর্তীতে দলের উন্নতির লক্ষে আবার দুই মেয়াদে ও বর্তমান মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

তবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়ে আলেচনায়,সমলোচনা,গুনঞ্জনের শেষ নেই। কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান আর কারা হচ্ছে সদস্য এটাই যেন আলোচনার মুখ্য বিষয়। জেলা পরিষদের নেতৃত্বের অভিভাবক নিয়ে নেতাকর্মীদের রয়েছে নানা অভিমত।

উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদিকা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, আমি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং মনে প্রানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বিশ্বাস করি। ১৯৯৬ সাল ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত হয়ে রাজনীতি করে আসছি। আমি খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য পদ পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

মাহমুদা বেগম লাকী সর্ম্পকে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সীমা দেওয়ান বলেন, লাকী তৃণমূল থেকে দলের জন্য কাজ করে আসছে, বর্তমানেও কাজ করছে, দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা দরকার। মাহমুদা বেগম লাকী খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য হলে জনগণের সেবা করতে আরো সুদীর্ঘ হবে।

পিবিএ/এসআর/হক

আরও পড়ুন...