ফিডব্যাক এলে দগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রীকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

rafi feni

পিবিএ,ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীর চিকিৎসার রিপোর্ট সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে; সেখান থেকে ফিডব্যাক এলেই তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

|স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীর চিকিৎসার রিপোর্ট সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ড. সামন্ত লাল সেন। সেখানকার চিকিৎসকরা যদি বলেন রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হোক তাহলে আমরা পাঠিয়ে দেবো। সিঙ্গাপুর থেকে ফিডব্যাক এলেই দগ্ধ শিক্ষার্থীকে সেখানে পাঠানো হবে।’

তনি আরো বলেন, ‘এখন রোগী লাইফ সাপোর্টে আছে। নিজে নিশ্বাস নিতে পারছে না, অবস্থা সংকটাপন্ন। তার মা-বাবা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের রোগীর বর্তমান অবস্থা জানিয়েছি। যদি তাকে বাইরে নেওয়ার মতো অবস্থা থাকে তাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্দেশ দিয়েছেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের বিচার হোক আমরা এটা আশা করি। এর ব্যবস্থা সরকার করবে। আমাদের (ঢামেকে) এখানে দগ্ধ শিক্ষার্থী যতদিন আছে ততদিন সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করছি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও যদি তার পরিবার রাজি থাকে এবং সেখানে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে বলে তাহলে আমরা পাঠিয়ে দেবো।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় ওই ছাত্রী। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে ৪/৫ জন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বড় ভাই মাহমুদুল হাসান। এতে অজ্ঞাত মুখোশধারী চারজন এবং তাদের সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত মোট সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...