পিবিএ ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে নারীদেরও ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। এত দিন নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) বা সমমানের ডিগ্রি। তবে পুরুষ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের মতোই দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া যে কোটায় (নারী, পুরুষ ও পোষ্য) শিক্ষক নিয়োগ হবে, সেই কোটার ২০ শতাংশ প্রার্থীকে অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে বিজ্ঞান ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দিয়ে ২০ শতাংশ কোটা পূরণ করা না গেলে তা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা যাবে। এমন বিধান রেখে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগেই উদ্দেশ্যেই শিক্ষক নিয়োগে সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক করা হয়েছে। আর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশে বিশেষ করে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের কথা চিন্তা করে ২০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নতুন বিধিধামালা অনুযায়ী, আগের মতোই ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য এবং ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পদগুলো পূরণ করা হবে। উপজেলা বা থানাভিত্তিক এই নিয়োগ হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী আগের মতোই প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের নিয়োগ হবে। পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণসহ কমপক্ষে সাত বছর চাকরি করতে হবে। আর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর।
পিবিএ/এমআই