পিবিএ,ঢামেক: বোনের বিষয়ে দুঃসংবাদ শুনে দৌড়ে এসে হাসপাতালে আইসিইউ’র বেডে বোনকে দেখেই বেহুশ হয়ে পরে ছোটভাই রাশিদুল হাসান রায়হান। ফ্লোরে পড়ে দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়ায় তার ভয় পেয়ে স্বজনরা ধরাধরি করে উঠিয়ে বসান তাকে। তবে চোখ মুখ লাল হয়ে দিগ্বিদিক তাকাতাকি করছিল ছোটভাই রায়হান। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান জানান, সন্ধ্যার দিকে ছোট ভাই রায়হান হাসপাতালে ছিলো না। ছিলো হাসপাতালের কিছুদূরের একটি হোটেলে। সেখানে তাকে ফোন করে কেউ একজন বোনের বিষয়ে দুঃসংবাদ দেয়। তাকে কেউ জানায় তার ছোট বোন মারা গেছে বলে শুনা যাচ্ছে। এমন কথা শুনে সে সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে এসে আইসিইউ’র ভিতরে ঢুকে পড়ে। তবে বোনকে দেখে শান্ত হলেও আইসিইউ থেকে বের হয়েই বেহুশ হয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে দেখে স্যালাইন পুশ করেন। এরপর তাকে আবার হোটেলে নিয়ে যা হয়েছে।
একই রকম, মেয়ের শোকে আইসিইউ’র পাশের ছোট একটি রুমে বিছানায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন মা শিরিন আক্তার। কিছুক্ষণ পরপরই মেয়ের কথায় বিলাপ করছেন তিনি।
বলেন, আজ সারাদিন তার দিকে চোখ মেলে তাকায়নি মেয়ে। গতকাল সারাদিনও তার দিকে তাকায়নি। কোন সাড়াশব্দ করেছেনা সে।
তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন আলোচনা করছিল মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা আছে কিনা। এ কথা শুনেই মা শিরিন আক্তার উত্তেজিত হয়ে উঠেন। বলেন, মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা থাকলে তো প্রিন্সিপাল অপকর্ম চালাতে পারবেনা। এজন্য সিসি ক্যামেরা লাগায়নাই সে। সিসি ক্যামেরা থাকলে তো তার আপকর্ম ধরা পড়বে।
আবার বলেন, মেয়ে যদি অসুস্থ হয়ে মারা যেতো তাহলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতো। এখন সে তার মনকে বুঝাবে কিভাবে?
পিবিএ/এইচ