পিবিএ,কুয়াকাটা: বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে পাঁচ লাখ পিস ইয়াবা ও দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন ৪৫ কিলোমিটার গভীরে এ অভিযান চলানো হয়। এ অভিযানে অপহৃত ১৩ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিজামপুর, পায়রাবন্দর ও ভোলা জোনের কোস্টগার্ডের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ইয়াবার এ বিশাল চালান আটক করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোশাররফ সিকদার (৫০) ও তার চাচাতো ভাই টিপু সিকদার (৩২)। এদের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হচ্ছেন- রাসেল, ফেরদৌস, জসিম, বাদল, কবির, আলাউদ্দিন, ইলিয়াস, সোহাগ, ইব্রাহীম প্যাদা, তামিম, মিজান, চানমিয়া, কামাল।
বুধবার(১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম নাজিউর রহমান নিজামপুর কোস্টগার্ড বিসিজি স্টেশনে ব্রিফিংয়ে বলেন, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এ পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এ সময় মূল হোতা মহিপুরের আল আমিন, জহিরুল, সালাহউদ্দিন, বেল্লাল, ছোহরাব পালিয়ে যায়।
আটক মোশাররফ পিবিএকে জানায়, টেকনাফ থেকে এই ইয়াবা ট্রলারে লোড করা হয়, যা কুয়াকাটা, মহিপুর-আলীপুর ও কলাপাড়ায় আনলোড করার কথা ছিল। ট্রলারটির ইয়াবা রোববারই খালাশ করার কথা ছিল। কিন্তু ইয়াবাবহনকারী ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
এতে চোরাচালানকারীরা কিছুটা বেদিশা হয়ে পড়েন। মোশাররফ তখন মহিপুর এসে সুগন্ধা বরফকল সংলগ্ন এলাকায় ভেড়ানো এফবি আলাউদ্দিন ট্রলারের ১৩ জেলেকে নষ্ট হওয়া ট্রলার কিনারে আনার জন্য মোটা অংকের টাকার লোভ দেখায়।
কিন্তু ট্রলার নিয়ে ইয়াবাবহনকারী ট্রলারের কাছে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জেলেদের মারধর করতে থাকে। একপর্যায় নষ্ট ট্রলার বেঁধে ফেয়ার বয়ার দিকে চালাতে বাধ্য করে। কুয়াকাটাসংলগ্ন গভীর সাগরে থাকাবস্থায় কোস্টগার্ড ধাওয়া করে।
একপর্যায়ে ট্রলার চরে আটকে দিয়ে মূলহোতা আল আমিনসহ ছয়জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ইয়াবার চালানের হোতা আল আমিনের বাবার নাম আবদুস সালাম। বাড়ি মহিপুরে। আলীপুরের ইউসুফ কোম্পানির লোকজনও এ চালানোর সঙ্গে জড়িত বলে উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানিয়েছেন।
পিবিএ/এফএস