মংলার পশুর নদীতে ঝড়ে নিখোঁজ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

মোঃ নূর আলম, পিবিএ, মংলা: মংলার পশুর নদীতে কালবৈশাখী ঝড়ে এম এল আকতার লঞ্চ এবং বার্জ এমভি হারড্ডার সংঘর্ষে ডুবে নিখোঁজ দুইজনের মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও টহলদল পশুর নদীর সুন্দরবনের হারবাড়িয়া থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

উদ্ধারকৃত দুইজন হলো ক্রেন ড্রাইভার মোঃ শাহ আলম (৪৫) ও বার্জের প্রহরী (স্কট) মোঃ জুয়েল (৪০)। নিখোঁজের দুইদিন পর মরদেহ দুটি উদ্ধার হলো। লতিফ নামের একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে খুলনা, বাগেরহাট এবং মংলার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চ এম এল আকতার এবং বার্জ হারড্ডা পশুর নদীর হারবাড়িয়ায় ডুবে তিনজন নিখোঁজ হন।

উদ্ধার
নিখোঁজ শাহ আলম ও জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক মোঃ মাসুদ পিবিএ’কে জানান গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ডুবে যায় এম এল আকতার লঞ্চ এবং বার্জ এমভি হারড্ডা। ঐ সময় তিনজন নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের দুইদিন পর তিনজনের মধ্যে দুইজন ক্রেন ড্রাইভার মোঃ শাহ আলম ও প্রহরী রাজুকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি এবং টহল দল পশুর নদীর হারবাড়িয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে। উল্লেখ উদ্ধার হওয়া মোঃ শাহ আলমের বাড়ী মংলার উত্তর মালগাজী গ্রামে এবং জুয়েলের বাড়ী খুলনার লবনচরার বউ বাজার এলাকার জিন্নাহ পাড়া। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মরদেহ দুটি মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বাহার পিবিএ’কে বলেন মরদেহ দুটির সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রহরী ( স্কট ) জুয়েলের মরদেহ তার পিতা সিরাজুল ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ক্রেন ড্রাইভার মোঃ শাহ আলম’র লাশ তার ছেলে সুমন গ্রহণ করেছে। এ ঘটনায় মংলা থানায় অপমৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্য হুমায়ুন কবির জানান মোঃ শাহ আলমের লাশটি লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে বের করে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শাহ আলমের মরদেহ বের করে আনা হলো। ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্য মুজিবুর রহমান জানান প্রহরী জুয়েলের মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের টহল দল সুন্দরবনের হারবাড়িয়ার বন বিভাগের অফিস সংলগ্ন এলাকায় ভাসমান অবস্থায় পেয়েছে। ক্রেন ড্রাইভার মোঃ শাহ আলমের ছেলে সুমন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আমার বাবার মরদেহ পেয়েছি। বাবাকে শেষ বারের মতো দেখতে পাচ্ছি এবং তাকে দাফন করতে পারবো।

পিবিএ/এনএ/জেডআই

আরও পড়ুন...