পিবিএ,ঢাকা: ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ (চাকরিচ্যুত মেজর) ছয়জনের বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত ছয় আসামির মধ্যে পলাতক দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামি হলেন- মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির।
একইসঙ্গে আদালত মামলার অভিযোগ থেকে ১৫ জনকে অব্যাহতি প্রদান করেন। অব্যাহতিপ্রাপ্ত ১৫ আসামি হলেন- সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আব্দুর সবুর ওরফে রাজু সাদ, মাইনুল হাসান শামীম, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মকুল রানা, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।
মেজর জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, মো. আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবি। জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পিবিএ/এফএস