গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা,আটক ৩

পিবিএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মামুনি ধর (২৪) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে দেড়টার দিকে উপজেলার ভুজপুর থানার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের মহানগর এলাকায় নরেন্দ্র কুমার দের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে প্রবাসীর স্ত্রী গৃহবধুকে হত্যা করা হয় বলে নিহতের জেঠাত ভাই ইন্দ্রজিৎ জানান।

এসময় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মামুনি ধরের শশুর মিলন কান্তি দে আহত হন। তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায় বলে পুলিশ জানায়। গুরুত্বর আহতাবস্থায় মিলন কান্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার তিন যুবক হলো, সানি দে, চয়ন দে ও জয় দে। ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, গ্রেফতার হওয়া তিনজন একই এলাকার বখাটে এবং সন্ত্রাসী। তারা রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘরে ঢুকে আমার বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে চিৎকার দিলে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি তাদের কক্ষ থেকে বের হয়ে আসে। এসময় বখাটে যুবকরা ছোরা বের করলে শ্বাশুড়ি উনার দেড় বছরের নাতনিকে নিয়ে একটি কক্ষে ঢুকে সেটির দরজা বন্ধ করে দেন। বখাটে যুবকেরা আমার বোনের গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। শ্বশুর যুবকদের প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মামুনি ধর (২৪) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
গলাকেটে হত্যা

ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে আমরা তিন যুবককে গ্রেফতার করেছি। তাদের ব্যবহৃত ছোরাও উদ্ধার করা হয়েছে। তিন যুবকই এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। ধর্ষণের অভিযোগ এখনও সেভাবে কেউ করেনি। কয়েকজন ধারণার কথা বলেছেন। তবে মামলা দিলে নেব।

ওসি আবদুল্লাহ জানান, গৃহবধূকে সানি ও চয়ন ছুরিকাঘাত করতে দেখেছেন বলে জানা গেছে। জয় পাশে দাঁড়িয়েছিল। তিনজনের মোটিভ কি ছিল, সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। দুর্বৃত্তরা একতলা ভবনের সিঁড়ি ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত গৃহবধূকে গলায় ছুরি ধরে। এসময় তার ছিৎকারে পাশের রুমে থাকা শশুর মিলন কান্তি দে এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

এদিকে স্থানীয় অপর একটি সুত্র জানায় গ্রেফতার তিন যুবকের সাথে স্থানীয় অপর একটি পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধু মামনি’র শশুর মিলন কান্তি দে ওই ঘটনায় সাক্ষী। আজকে রোববার ওই ঘটনার শালিশী বৈঠক হওয়ার কথা।

ইতোপুর্বে আসামীরা সাক্ষী না দিতে মিলন কান্তিকে মৌখিকভাবে নিষেধ করে। যাতে করে শালিশী বৈঠকে সাক্ষী দিতে না পারে সে জন্য মিলনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা।

পিবিএ/জেএম/আরআই

আরও পড়ুন...