জলকেলি’তে মাতোয়ারা মারমা তরুণ-তরুণীরা

জলকেলি’ উৎস
পাহাড়ে জলকেলি উৎসবে মাতোয়ারা মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা।

পিবিএ,রাঙ্গামাটি: মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা পুরনো বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে ‘জলকেলি বা জল উৎসবে মেতে উঠে। ঐতিহ্যবাহি এ সামাজিক উৎসব পাহাড়ে ‘জলকেলি বা জল উৎসব’ নামে পরিচিত। সোমবার ( ১৫ এপ্রিল ) সকালে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) উদ্যোগে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এলাকায় স্বর্গীয় অনন্ত চৌধুরীর মাঠে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহি সামাজিক উৎসব এই ‘জলকেলি বা জল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলার সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় অনুষ্ঠানে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) এর সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরী এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা,৩০৫ পদাতিক বিগ্রেড রাঙ্গামাটি জেলার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল খালেক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছামাতব্বর প্রমূখ।
সভায় দীপংকর তালুকদার বলেন- ধর্ম যার,যার উৎসব সবার। নতুন বছরকে বরণ-পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে পাহাড়ে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সাংগ্রাই,বিজু,বিষু উৎসবে মাতোয়ারা উপজাতীয় সম্প্রদায়ের লোকজন। এ আনন্দউৎসব সকলের মধ্যে ভালবাসার সম্প্রীতি সৃষ্টি করে। সভা শেষে অতিথিরা ‘জলকেলি’ উদ্ধোধন করেন।

এর পর পরেই এক পাশে তরুণ অন্য পাশে তরুণীরা অবস্থান নিয়ে একে অপরকে জল ছিটাতে শুরু করে। তাদের ধারণা,এতে পুরনো বছরের সমস্ত জরাজীর্ণ ধুয়ে মুছে যায়। একটি সুন্দর আগামী দিনের প্রত্যাশায় এ জল ছিটানো হয়। জল খেলায় কোন বিবাহিত নারী-পুরুষ অংশনিতে পারেন না। এ খেলায় শুধুমাত্র অবিবাহিত তরুণ-তরুণীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন। জল খেলার পাশাপাশি চলে তরুণ-তরুণীদের একে অপরকে পছন্দ করার বিষয়টিও। পছন্দ হলে সে তরুণ-তরুণীরা আগামী দিনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার একটি রীতিও প্রচলিত আছে এ উৎসবে। জল খেলা শেষে স্থানীয় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির শিল্পীরা তাদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে বিভিন্ন সংগীত পরিবেশনকরেন। ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জল উৎসব পালনে সকল সম্প্রদায়ের হাজার,হাজার
দর্শকের সরগম ছিল দেখার মত।

পিবিএ/এনএ/হক

আরও পড়ুন...