পিবিএ ডেস্কঃ কিডনির রোগে আক্রান্তদের খেয়াল রাখা উচিত তারা কি ধরনের পানীয় গ্রহণ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে কিডনিতে চাপ পড়তে পড়তে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। একেবারে শেষ পর্যায়ে বাড়াবাড়ি হলে অনেক সময় কিডনি ফেলিওর হয়ে যায় যাকে এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ(End Stage ranal disease) বলে উল্লেখ করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি কিডনির সুস্থতা বজায় রাখতে পারবেন।
পানিঃ প্রত্যেকদিন খাওয়া জলের পরিমাণ শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট হতে হবে। আমাদের মানব শরীরের বেশ অনেকটাই জল দিয়ে তৈরি। প্রত্যেক দিন অন্তত আট গ্লাস জল খেতে পারলে কিডনির সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
অ্যালকোহল ও কফি বর্জনঃ সত্যি বলতে কিডনির সুস্থতা লাইফস্টাইলের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। কিডনির প্রধান কাজ হলো শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন এবং ক্যাফিন জাতীয় জিনিসকে থেকে বার করে দেওয়া।
ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি আদতে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের স্বাস্থ্য বজায় রেখে তার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে কিডনির স্বাস্থ্যও রক্ষা হয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন, বিভিন্ন ফল, ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রকোলি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
পার্সলের রসঃ কিডনির জন্য এটি খুবই ভালো, কারণ পার্সলের রস মূত্রের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়।
ক্রানবেরির রসঃ পার্সলের রসের মতোই ক্র্যানবেরির রস একইভাবে ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন কমাতে খুবই উপকারী।
আপেলঃ আপেলের মধ্যে থাকে অ্যাসিড কনটেন্ট। ফলে প্রস্রাবের অ্যাসিডিটির সঠিক ভারসাম্য বজায় থাকে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান কিডনির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে।
প্রোবায়োটিকঃ শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে প্রোবায়োটিকের কোনও জুড়ি নেই। এটি কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে ফলে বাকি শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
পিবিএ/এমআর