জেনে নিন গরমে, হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষার উপায়

পিবিএ ডেস্কঃ গ্রীষ্মকাল মানেই ঘাম, রোদে পোড়া এবং সানস্ট্রোক.
গ্রীষ্মকালে দুপুরে কিছুক্ষন বাইরে থাকা মানেই হতে পারে স্ট্রোক. এই ব্যাপারে যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারা জানেন যে এটি কতখানি মারাত্মক হতে পারে. হিট বা সানস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচার ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো জেনে নেওয়া যাক এর লক্ষণগুলি কি কি।

হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণগুলোঃ
১। মাথা যন্ত্রণা
২। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
৩। অত্যধিক ঘাম
৪। ঝিমুনি
৫। বমি
৬। গা গোলানো
৭। ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং
৮। জোরে জোরে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া

এই লক্ষণগুলো দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তবে প্রথমেই ওষুধ দেবার আগে নীচে দেওয়া ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।

পেঁয়াজের রসঃ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির কানের পাশে বা বুকে পেঁয়াজের রস ঘষলে খুব তাড়াতাড়ি তা শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে এবং শরীরে স্বস্তি আনে. বহুদিন আগেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পেঁয়াজের রসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে. কাঁচা পেঁয়াজ স্যালাদেও সাথে খাওও যেতে পারে।

ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়ঃ অত্যধিক ঘামে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের অভাব ঘটে. বেকিং সোডা পানিতে গুলে সেটি ১০ মিনিট অন্তর খেলে এই অভাব পূরণ হয় এবং হিটস্ট্রোকের প্রভাব কম হয়।

বাটার মিল্ক কিংবা ডাবের জলঃ বাটার মিল্ক-এ থাকা প্রবায়োটিকস এবং ডাবের পানিতে থাকা ইলেক্ট্রোলাইট পদার্থ শরীরের পানি এবং খনিজ সাম্য বজায় রাখে যা হিট স্ট্রোকের সময় অত্যধিক ঘামের সাথে বেরিয়ে যায়।

পুদিনা পাতা এবং ধনে পাতার রসঃ ধনে পাতা এবং পুদিনা পাতা বেটে তার রস বের করে নিয়ে সেটির সাথে চিনি বা মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত নেমে আসে এবং শরীর ঠান্ডা হয়।

তেঁতুলের পানিঃ পাকা তেঁতুল সেদ্ধ করে তার রসের সাথে চিনি বা মধু মিশিয়ে হিটস্ট্রোক আক্রান্ত রুগীকে খাওয়ালে তার শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ এবং পানির সমতা বজায় থাকে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...