পিবিএ,ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এএম বদরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ৫ দিন পর মামলা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে ঘটনার পরপর মামলা করতে পারেনি ভিকটিম পরিবার। অবশেষে সোমবার সকালে ধর্ষিতার মা থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি দু’পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করার চেষ্টা করেন তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা । কিন্তু ব্যর্থ হয়ে রাত ১০টায় মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলায় ধর্ষক লিটনকে গ্রেপ্তার ও সাইফুলসহ আরও দুই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। সে স্থানীয় প্রভাকরদী এলাকার তোঁতা মিয়ার ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানায়, ১১ই এপ্রিল বিকালে বাড়ির বাইরে তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় সাইফুল নামে এক যুবক। তাকে লিটন নামে এক যুবকের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় প্রভাকরদী এলাকায় জনৈক মোবারকের মালিকাধীন পরিত্যক্ত একটি গরুর খামারে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এদিকে ছাত্রীটির মা জানান, বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাশালী মহল মামলা না করতে তাদের নানাভাবে চাপ দেয়। বিভিন্ন অঙ্কের অর্থের প্রলোভনও দেয়া হচ্ছিল। এতে তিনি আইনী সহযোগিতা নিতে পারছিলেন না। সোমবার সকালে সবার অগোচরে মেয়েকে নিয়ে থানায় হাজির হন। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ পুলিশ গ্রহণ না করে দিনভর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফের মিমাংসার চেষ্টা চালাতে থাকেন। তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে সেকেন্ড অফিসার এসআই ফায়জুর রহমান ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে ধর্ষক লিটনকে এক ঘন্টা সময় বেঁধে দেন। প্রস্তাব ব্যর্থ হলে রাত ১০টায় মামলাটি গ্রহণ করা হয় আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল। ব্যর্থ হওয়ার পর রাতে মামলা গ্রহণ করা হয়।
পিবিএ/আরআই