পিবিএ,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ২ নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে ৪ গৃহবধূ সন্ত্রাসী হামলায় আহত। তারা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২ নং দক্ষণি হামছাদী ইউনযি়নরে নন্দনপুর গ্রামের হাতানি বাড়ির আবুল কালাম এর পৈত্রিক সম্পত্তি একই বাড়ির আব্দুল খালেকের ছেলে মিজান, হাফিজ, মাকসুদ ও স্বপনসহ আরও ৩-৪ জনের একটি দল নিয়ে অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করলে আবুল কালামের স্ত্রী আকলিমা বাধা দিতে গেলে তাকে মিজান ও হাফিজ পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত ও জখম কর। এ সময় হানিফের স্ত্রী সখিনা, মোঃ আমিনের স্ত্রী কোহিনুর, ইউসুফের স্ত্রী রোকেয়া মারাত্মক জখম হয়।
আবুল কালাম এ প্রতবিদকে জানান, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি র্দীঘ দিন থেকে একই বাড়ীর আব্দুল খালেকের ছেলে মিজান (৪৫) হাফিজ(৩০) মাকসুদ (২৮) ও স্বপনরা (২৫) সর্ম্পূণভাবে অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকটি বৈঠক হয়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা কোন কিছু মানছেন না। তারা শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় আমার ঘর বাড়ি ভেঙে চুরে সব লুটপাট করে। আমাদের স্ত্রী সন্তানদের পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্থানীয় কয়কেজন মহিলা জানান মিজান আবুল কালামের স্ত্রী আকলিমাকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করে।
স্থানীয় সালিশদার আব্দুল করিম মিঠু বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে মিজান গংরা আবুল কালাম এর পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে। এই নিয়ে আমরা কয়েকবার সালিশি বৈঠকে ডেকেছি। কিন্তু মিজানরা কেউ আসেনি। গত দুদিন আগেও বৈঠকের তারিখ দিয়েছি। বসার কথা ছিল, কিন্তু তারা না বসে সন্ত্রাসী কায়দায় জমি জবর দখল করার চেষ্টা চালায়। এ সময় আবুল কালাম এর স্ত্রী আকলিমা বাধা দিতে গেলে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে। তার শৌরচিৎকারে হানিফ মিয়ার স্ত্রী সখিনা, আমিনের স্ত্রী কোহিনুর, ইউসুফের স্ত্রী রোকেয়া এগিয়ে এলেও তাদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আমি দেখতে গিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল করিম মিঠু আরো বলেন, মিজান গংরা যা করেছে তা সর্ম্পূণ বেআইনি তাছাড়া নারীদের গায়ে হাত তুলে আরও অন্যায় কাজ করেছে। মিজান গংরা স্থানীয় সালিশিদারদের মান্য করে না বলে মনে হচ্ছে।
পিবিএ/আআ/আরআই