অভিনেত্রী সারিকা নিখোঁজ

পিবিএ,বিনোদন : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ সরব অভিনেত্রী সারিকা। কারও সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ না থাকলেও ফেসবুকে সরব থাকতেন সবসময়। কিন্তু হঠাৎ করেই কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ফেসবুকেও কোন আপডেট নেই সেইসাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

সারিকার কাছের বন্ধু বা ঘনিষ্ঠ যারা আছেন তাদের সাথেও নেই কোন যোগাযোগ। কেউই বলতে পারেন না কোথায় আছেন তিনি। সারিকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিত্রনায়ক ইমন। তার সঙ্গেও অনেকদিন যোগাযোগ নেই সারিকার।

ইমন বলেন, ‘প্রায় তিন মাস আগে সর্বশেষ সারিকার সাথে আমার কথা হয়েছিল। এরপর অনেকদিন ধরেই কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। কোথায় আছে তাও জানি না। কাজের প্রসঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো খবর পাচ্ছি না। মিডিয়া প্রফেশনাল জায়গা। এখানে এর বাইরে গিয়ে চললে তো হবে না।’

ঘনিষ্টজনরা বলছেন, সারিকা তার ক্যারিয়ারে সুবর্ণ সময়ে গিয়ে তারকাখ্যাতি মেনটেইন করতে পারেন নি। এছাড়া সময় মেনে কাজ না করা, বিয়ে করে ফেলা, হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, তার ক্যারিয়ারের জন্য কাল হয়েছে। কিন্তু যখন সারিকা সচেতন হয়েছেন, তখন আর সারিকার পূর্বের জায়গায় ফিরে যেতে পারেন নি।

২০১০ সালে নারী নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর নাটকের মাধ্যমে একক নাটকে যাত্রা শুরু করেন সারিকা। এরপর তারা একসঙ্গে বেশকিছু কাজও করেছেন। সেই নির্মাতার সঙ্গেও নেই কোন যোগাযোগ।

চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘সারিকা দেখতে সুন্দর ছিল, অভিনয়েও ভালো ছিল, রুচিবোধ ছিল, ওর পরিবারও ভালো ছিল। কিন্তু যে মানুষ জীবনের হিসাবে যখন কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, শৃঙ্খলা মেনটেইন করতে পারে না, তখন তার জীবন থেকে অনেক উপাদানই হারিয়ে যায়। যেটা ওর বেলায় হয়েছে। আবার কেউ যদি জীবনে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রিকভার শেষে ফের ভুল স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়, তখন আর সে নিজেকে নিজে ভালোবাসবে না। আর মানুষ যখন ডিসিপ্লিন হবে না, এরপর একটা সময় গিয়ে সে আর নিজেকে খুঁজে পাবে না।’

২০০৬ সালে মডেলিং এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করলেও সারিকা অভিনয় জগতে পা রাখেন ২০১০ সাল থেকে। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করেই নাটক ও মডেলিংয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। ২০১৪ সালে হঠাৎ করে জানা যায় ব্যবসায়ী মাহিম করিমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সারিকা। তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্মও হয়। কিন্তু সাংসারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ার কারণে দুজনেই আলাদা হয়ে যান।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...