ববি শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলনে জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্বেগ প্রকাশ

পিবিএ,ঢাকা: ২৩ দিনেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসন হয়নি। এতে সেশন জটের আশঙ্কা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এবং অভিভাবক।

বুধবারও (১৭ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। শিগগিরই তাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি শিক্ষকরা ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শুরু হয়।

শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি ও শিক্ষকদের আট দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতা লোকমান হোসেন ও শফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আমাদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ২৩ দিন পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের দাবি অতি শিগগিরই মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন- বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও মহাসচিব মোঃ মফিজুর রহমান লিটন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ ২৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কি কারনে আজও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা সমাধান হয়নি। স্থানীয় ভাবে মন্ত্রী, মেয়র সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও বরিশাল বিভাগের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার পরেও সমাধান না হওয়ায় তারা বিষয়টি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারতেন। কি কারনে তারা নিরব রয়েছেন তাও জাতির কাছে প্রশ্নবোধক? অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা সরকারকে গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ববির সকল কার্যক্রম সরকারী ভাবে পরিচালিত হয়। অন্য ৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে কার্যক্রম চলে আসছিল। গত ২৬শে মার্চ ভিসি সাধারণ শিক্ষার্থীদের “রাজাকারের বাচ্চা” বলায় ঘটনার সূত্র পাত ঘটে। একদিন পর তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতিদেন এবং যা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইডে এখনো রয়েছে। তাছাড়াও ভিসি মেয়াদ ও রয়েছে মাত্র দুই মাস।

এমতাবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কারো ফাঁদে পরে একদফার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কিনা সে বিষয়টিও ধীরে ধীরে সামনে চলে আসছে।ক্যাম্পাসে রাজনীতিমুক্ত বরিশাল বিশ্ব্যবিদ্যালয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যের কারো ইঙ্গিত আছে কিনা তা খুজে বের করা সময়ের দাবি।

পিবিএ/এমএইচই/হক

আরও পড়ুন...