রিকশায় তোয়ালে পেতে বসায়, ট্রোলড মিমি চক্রবর্তী

পিবিএ ডেস্কঃ তোয়ালে পেতে রিকশায় বসেছিলেন। তা নিয়ে ফের বিতর্কে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোলিং শুরু হয়েছে। নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে একাত্ম হতে এত আপত্তি যাঁর, তিনি দেশ সেবা করবেন কী ভাবে?

গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে সদ্য রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। আবার দলের হয়ে প্রচারেও চষে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা। সোমবার নিজের শহর জলপাইগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মনের হয়ে প্রচারে যান তিনি। সেখানে পাণ্ডাপাড়ার বাড়ি থেকে রিকশায় চেপে মন্দিরে পুজো দিতে যান।

রিকশায় বসা মিমির সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। আর তাতেই বিপত্তি বাধে। রিকশার সিটে তোয়ালে পাতা দেখে চটে যান নেটিজেনদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমির সমালোচনায় সরব হন তাঁরা।

ফেসবুকে সৈকত সরকার নামের এক ব্যক্তি লেখেন, ‘এই ধরনের আচার-আচরণ ক্রমশ অসহনীয় হয়ে উঠছে। তোয়ালে ছাড়া রিকশায় উঠতে পারেন না উনি। দস্তানা না পরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন না। সেই সঙ্গে সারা ক্ষণ চেহারায় ঔদ্ধত্য। মানছি সুন্দরী উনি, কিন্তু এটা কোনও সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়। শুধু মাত্র হুমকি দিয়ে আর চেঁচিয়ে কাজ হবে না। এই ধরনের তারকা রাজনীতিতে আসায় দেশ এবং রাজ্যের ক্ষতি হচ্ছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘প্রচুর পরিশ্রমী লোকজন রয়েছেন যাঁরা দলের জন্য জান লড়িয়ে দেন। বিপদে আপদে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। টলিউড সুন্দরীদের টিকিট না দিয়ে তাঁদের বরং টিকিট দেওয়া উচিত।’ অরিন্দম সরকার নামের আর এক ব্যক্তির কথায়, ‘হাতে দস্তানা পরে পথসভা করতে যান মিমি চক্রবর্তী। রিকশার সিটে তোয়ালে পেতে বসেন। ইনি নাকি সাংসদ হবেন, দেশসেবা করবেন!’

সোমবার পাণ্ডাপাড়ার স্থানীয় এক রিকশাওয়ালার রিকশাতেই উঠেছিলেন মিমি, যাঁকে ছোটবেলায় মামা বলে ডাকতেন তিনি। সেই রিকশার সিটে তোয়ালে পাতা ছিল। রিকশায় ওঠার সময় তোয়ালে লাগবে না বলে জানান মিমি। তবে আশপাশের লোকজন জোর করায় শেষ মেশ তোয়ালে পাতা আসনেই বসে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে সাফাই দেননি মিমি নিজেও। তবে ভোটের প্রচারে হাতে দস্তানা পরে মানুষের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়েও দিন কয়েক আগে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...