বাসের চাকায় পিষ্ট হলো ফরহাদের পরিবারের স্বপ্ন

পিবিএ,নোয়াখালী: স্বপ্নের অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া হলোনা নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের মহিদীপুর গ্রামের ফরহাদের(২৫)। তার আগেই বাসের চাকায় পিষ্ট হলো পরিবারের স্বপ্ন ও সকল আশা ভরসা। বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী-নোয়াখালী মহা সড়কের ছমিরমুন্সীরহাট পশ্চিম বাজারে দ্রুতগতির বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মহিদীপুর গ্রামর ওবায়দুল হকের পুত্র ফরহাদ নিহত ও তার বন্ধু পাশ্ববর্তী মইজদীপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র সাইফুল (১৮) গুরুতর আহত হয়।

দিনাজপুরের সদর উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় শিশুসহ অন্তত তিন জন নিহত হয়েছেন।
সড়ক দূর্ঘটনা

জানা গেছে, ফরহাদ ও তার বন্ধু সাইফুল মোটরসাইকেল যোগে চৌমুহনী থেকে সেনবাগের দিকে যাচ্ছিলো। ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুত গতির একটি বাস তাদের সামনা সামনি চাপা দেয়।
এতে ফরহাদ ও সাইফুর গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চৌমুহনীর পূর্ব বাজারের লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরহাদকে মৃত ঘোষনা করেন।

সাইফুল ওই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ২০৪ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এস আই গৌরসাহা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি আটক করেন। পরে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করে তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়। এদিকে দূর্ঘটনায় মোটর সাইকেল চালক ফরহাদের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত ফরহাদ আগামী ২৬শে এপ্রিল স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যাবার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলো।

সদ্যবিবাহিত স্ত্রীসহ পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। ফরহাদকে হারিয়ে চুরমার হয়ে গেলো পরিবারের স্বপ্ন। ফরহাদ কাবিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
চৌমুহনীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আবু তাহের জানান, ফরহাদকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। গুরুত্বর আহত সাইফুল ২০৪ নং কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এই দূর্ঘটনার জন্য স্থানীয়রা বাসের বেপরোয়া গতিকেই দায়ী করেছেন। সেনবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল আলী পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহত ও একজন আহত হওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি আটক করি। তবে বাসের ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখবে।

পিবিএ/ইএনই/আরআই

আরও পড়ুন...