খাগড়াছড়িতে তামান্না র‌্যাফেল ড্র’র ফাঁদে সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বৈশাখী মেলার নামে রমরমা জুয়া,অশ্লীল নৃত্যসহ চলছে নানা অপকর্ম। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার চলমান অবস্থায় এ ধরনের কর্মকান্ডে ক্ষীপ্ত সাধারণ মানুষ। তারপরও নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
গত ৯ এপ্রিল থেকে কবাখালী ইউনিয়নের বৈসাবি ও বৈশাখী মেলার নামে দৈনিক তামান্না র‌্যাফেল ড্র, অশ্লীল নৃত্য ও হাউজি’র নামে অবাধে জুয়া এবং অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। এতে করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ও শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, মেলায় এক প্রান্তে র‌্যাফেল ড্র’র বুথ, অন্য প্রান্তে হাউজি ঘরসহ রয়েছে বেশ কিছু বন্ধ ঘর। মেলা প্রাঙ্গণে দর্শণার্থীর উপস্থিতিও কম। কিন্তু সে চিত্র রাতের বেলায় পুরো ভিন্ন। হাউজি, র‌্যাফেল ড্র, জাদু ও অশ্লীল নাচগান দেখতে একশ্রেণীর দর্শক উপস্থিতি চোখে পড়ে। এছাড়া সকাল থেকে দীঘিনালা সহ পুরো জেলায় র‌্যাফেল ড্র বিক্রির মাইকবাহী গাড়ি চষে বেড়াচ্ছে। এসব কিছুর পরও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজ।

কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জুয়া ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী কথা বলার সাহস করছে না। উপজেলা পরিষদ ও থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে বৈশাখী মেলার নামে অনুমতি ছাড়াই জুয়া ও অশ্লীল কার্যকলাপ চললেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীরা রাতের পর রাত মেলায় কাটিয়ে দিচ্ছে। দিনমজুর শ্রেণীর লোকজন সারাদিনের উপার্জিত অর্থ রাতের বেলায় মেলা প্রাঙ্গণে হারিয়ে শুন্য হাতে বাড়ি ফিরছে। প্রতিনিয়ত সামাজিক ও পারিবারিক কলহ বাড়ছে। এটি বন্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি মজিব মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনুমতি আছে কিনা সেটি তিনি জানেন না। সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে মেলার সবকিছু দেখাশুনা করছে বলে জানান।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম জানান, বৈসাবি ও বৈশাখী মেলা করার জন্য কিছু শর্তসাক্ষেপে মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত ভঙ্গ করে র‌্যাফেল ড্র, হাউজি ও অশ্লীল কিছু করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/হক

আরও পড়ুন...