পিবিএ,বেনাপোল: বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যচালান ঢোকার পর শতভাগ পরীক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে সে দেশের শুল্ক কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দর ব্যবহারকারিরা বিষয়টিকে ব্যবসার জন্য জটিল একটি প্রক্রিয়া হিসেবে মনে করছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় এমনিতেই একটি পণ্য চালান ভারত থেকে আমদানি হতে পাঁচ থেকে ১৫দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায় । সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পেট্রাপোল বন্দরে এবার পণ্য চালান শতভাগ পরীক্ষাতে এ ভোগান্তি আরও দ্বিগুণ বাড়বে বলে মনে করেন তারা ।
পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন,বেনাপোল বন্দরে ঢোকার আগে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়া ট্রাক থেকে পণ্য নামিয়ে পরীক্ষণ করা হতো না। একই নিয়মে বেনাপোল থেকে রপ্তানি পণ্য আসতো ভারতে। কিন্তু হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বন্দর ব্যবহারকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালান খালাসের আগে পেট্রাপোল বন্দরে শতভাগ পরীক্ষা করাতে হবে ।’
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী সন্তোষ কুমার বলেন, এই নিয়মে এ পথে বাণিজ্য সম্পাদন কঠিন হয়ে যাবে ।বিশেষ করে পচনশীল পণ্য চালান রপ্তানি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে । আগে এন্টি (পাশ) করা হয়েছে এমন পণ্য চালান বন্দরে প্রবেশ করেছে । ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে নতুন করে পণ্য চালান এন্ট্রি বন্ধ রেখেছেন ।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন,বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে কোন চিঠি দেয়নি । তবে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকদের কাছ থেকে শুনেছি ।এই নিয়ম চালুতে দ্রুত বাণিজ্য সম্পাদন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হবে বলে মনে করেন তিনি।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমসের সহকারি কমিশনারের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমি পেয়েছি। বিষয়টি বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার, সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনসহ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করেছি । বিষয়টি নিয়ে এখনই না বসাবসি করলে এ বন্দর দিয়ে বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
বেনাপোল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, এমনিতেই ভারত থেকে একটি পণ্য চালান আমদানি হতে ৫ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায় ।এবার পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যবাহী সকল ট্রাক শতভাগ পরীক্ষাতে এ ভোগান্তি আরও বাড়বে। এতে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে ।নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সীমান্ত বাণিজ্যে।
পিবিএ/এসএন/হক