পিবিএ,বেনাপোল: বেনাপোল পোটর্ থানার এসআই মিজানের দূর্ণীতির সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরপরই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকী দিয়েছে ঐ দারোগা। সেই সাথে মাদক দিয়ে সাংবাদিকদের চালান দেয়ারও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা।
দারোগা মিজান থানায় যোগদানের পরপরই মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাদের মাদক ব্যবসা করার সহযোগীতা দিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় নিরাপরাধ লোকজনদের মামলার ভয় দেখিয়ে থানায় ডেকে নিয়ে অর্থ গ্রহনের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। মিজানের চাহিদা মত অর্ধ দিতে ব্যর্থ হলে তাকে যে কোন ভাবে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয়া হয়।
গত ১১ই এপ্রিল বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিজিবি’র মামলার পলাতক আসামীর রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে এসআই মিজানের ঘুষ বানিজ্য ১২ই এপ্রিল শিরোনামে এসআই মিজান মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবী ও ১৩ই এপ্রিল শিরোনামে ১২ লাখ টাকা দাবী এসআই মিজানের চাঁদাবাজির শিকার হলেন সরকারী কর্মচারী শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বেনাপোল পোটর্ থানার এসআই মিজানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা, কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ করেছেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে লেখা-লেখি করে কোন কাজ হবে না। কারণ উপরমহলে আমার যোগাযোগ ভালো।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, যে যেমন কর্ম করবে তার তেমনই ফল ভোগ করা লাগবে, তিনি আরো বলেন, আমি কাজে বাইরে আছি আর কিছু জানার থাকলে তদন্ত
ওসির সাথে কথা বলতে পারেন। সাংবাদিকদের বিরদ্ধে এ ধরনের আচরন গোটা সাংবাদিক মহলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, পোর্ট থানার দারোগা মজিানের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ এসছে। অভিযোগ তদ›ত করে দেখা হচ্ছে, দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পিবিএ/এসএস/হক