পিবিএ,দীঘিনালা: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শুরু হওয়া শান্তি সম্প্রীতির বৈসাবি মেলা থেকে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছেন কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন।
দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে তিনি শান্তি সম্প্রীতির এ মেলার বিরুদ্বে বিভন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। বৈসাবি মেলা কমিটির দাবী জাহাঙ্গীর হোসেনকে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও তিনি আরো দেড় লাখ টাকা দাবী করেন।
মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় , জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের পর পাহাড়ি-বাঙালী সম্প্রদায়ের সাধারন মানুষের মধ্যে কিছুটা ভয় ভীতি কাজ করছিল।
তাই প্রশাসনের সম্মতিক্রমে ও অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা শান্তি সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে বৈসাবি মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় পুলিশের পাশাপাশি দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী টহল ও নজরদারী রয়েছে।
মেলায় বেআইনী কিছু জুয়া, অশ্লীল নৃত্য কিছুই চলছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজর দারীর মধ্যে বেআইনী কাজ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে বিভিন্ন দপ্ততরে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন।
বৈসাবি মেলা উদযাপন কমিটির আয়বায়ক মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা শান্তি সম্প্রতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে বৈসাবি মেলার আয়োজন করেছি। চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল।
আমরা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে তিনি মেলার বিরুদ্বে বিভন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
৩নং কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদা দাবী অস্বীকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।
পিবিএ/এসএইচ/আরআই