পিবিএ, খুলনা: খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নে কপোতাক্ষ নদের ঘাটাখালী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে তিনটি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে প্রবল জোয়ারের চাপে পাউবোর ১৩-১৪/২ পোল্ডারের ঘাটাখালী জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকার দুর্বল বেড়িবাঁধের প্রায় ২৫০ মিটার কপোতাক্ষ নদে বিলীন হয়ে যায়। এতে কয়রা উপজেলার ঘাটাখালী, গোবরা পূর্ব চক, হরিণখোলা গ্রামে লোনা পানি প্রবেশ করে। এলাকাবাসি তাৎক্ষনিক নদীর পানি প্রবেশ ঠেকাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ গফ্ফার ঢালী জানিয়েছেন, রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বাঁধের ওই স্থান ধসে যায়। সেখানে রাতভর গ্রামবাসি কাজ করেছে। সোমবার সকালের জোয়ারে চাপে দূর্বল বাঁধটি ভেঙে যায়। এ সময় ঘাটাখালি জামে মসজিদটি কপোতাক্ষ নদে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া শতাধিক চিংড়ি মাছের ঘের, ক্ষেতের ফসল ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম শফিকুল ইসলাম জানান, বাঁধ রক্ষায় শবে বরাতের রাতেও গ্রামের শত শত নারী পুরুষ প্রাণপন চেষ্টা করেছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ভোর রাতে পানির চাপে তা ভেঙে গেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঁধের ওই স্থান ধসে যাওয়ার পর পাউবোর কর্মকর্তাদের জানানো হলেও তারা সময় মত উদ্যোগ না নেওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়তে হয়েছে এলাকার মানুষকে। এ মুহুর্তে এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে একটানা বাঁধটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি । সময় মত ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ আটকানো না গেলে উপজেলা সদরও লোনা পানিতে তলিয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের নিয়ে বাঁধটি মেরামতের চেষ্টা চলছে। বাঁধটি স্থায়িভাবে সংস্কারের জন্য পাউবোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে পাউবো’র সাতক্ষিরা-২ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পিবিএ/এইচআর/আরআই