পিবিএ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চল মহেশখালীর প্রবেশদ্বার জেটিঘাটের নাজুক অবস্থা। প্রতিদিন হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যকটের পদচারনা এ জেটি দিয়ে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহেশখালীর সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়দের। জেটি থেকে স্টেশন প্রায় ১ কিলোমিটার, তাই রিকশা বা টমটম ( ইজিবাইক) গাড়ী নিয়ে স্টেশন যেতে হয়।রাস্তায় ফাটল আর গর্ত গুলো বড় আকার ধারণ করায় গাড়ি চলাচল প্রায় অচলাবস্থা।
কেউ কেউ গাড়ি না নিয়েও হেটে চলে যায় স্টেশনে। তবে রোগী,শিশু, বৃদ্ধ ও পর্যটকরা চরম বিভ্রতকর অবস্থায় রয়েছেন। কষ্টসাধ্য হয়ে যায় ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের। চারি দিকে মহেশখালীর এতো উন্নয়ন কিন্ত চলাচলের একমাত্র জেটি তার কোন সংস্কারের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের ।
প্রতি বছর কোটি টাকা নিলাম হয়। এই টাকা কোথায় জমা হয়? এত টাকা দিয়ে নিলাম হওয়ার পরও সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন এই জেটিঘাট চরম ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে উঠছে। যেন সংস্কার করার কেউ নেই। মহেশখালীর চার লক্ষ মানুষের চলাচলের এই জেটিঘাটের দ্রুত সংস্কার চাই এলাকাবাসী।
তারেক আজিজ নামে এক পথচারী পিবিএকে জানান,এটি মহেশখালীর একমাত্র ঘাট হওয়ায় জীবিকার অন্বেষনে প্রায় কক্সবাজার যাওয়া আসা হয়। কিন্তু পরিবার পরিজন নিয়ে এ পথ দিয়ে চলাচল চরম কষ্টসাধ্য। চারিদিকে শুধু ভাঙা আর ফাটল। যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। আমরা এ ঘাটের দ্রুত সংস্কার চাই।
ভুক্তভোগী জনতার দাবী, এ সড়ক অবিলম্বে সংস্কার করা হউক এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত সংস্কারের কাজ আরম্ভ করা হউক। সরকারের চতুর্দিকে সর্বব্যাপী উন্নয়ন তবে এ ঘাটের কেন উন্নয়নের ছোয়া মাত্র লাগেনি? সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবে এটাই এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।
পিবিএ/টিএ/আরআই