১১ মাসেও কার্যকর হয়নি রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যার রায়

রাবি শিক্ষক হত্যা

পিবিএ,রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় রায় হয়েছে গত বছরের ৮ মে। এ মামলায় দুই জনের ফাঁসি এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন দেয় আদালত।
কিন্ত ১১ মাস অতিবাহিত হলেও রায় কার্যকর না হওয়ায় মৌন মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরেবিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মৌন মিছিল বের করা হয়। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুকুল মঞ্চে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন তারা। এতে অংশ নেন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।
সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহা. সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রায় ঘোষণার প্রায় ১১ মাস হলেও কার্যকরের কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছিনা। রায় কার্যকরে দীর্ঘ সূত্রিতায় অনেকটা হতাশ। তাই আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে।
রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভী বলেন, প্রায় দীর্ঘ তিন বছরের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণার ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও রায় কার্যকরের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা আদালত। উচ্চ আদালতে আপিল করার পর অপরাধীদের শাস্তি যেন কমে না যায় তাই ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।

এসময় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, মো জহুরুল ইসলাম, রেজাউল করিম সিদ্দিকীর ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ প্রমুখ।

রায় কার্যকরের বিষয়ে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু পিবিএ’কে জানান, রায় ঘোষণার পর সাত দিনের মধ্যে রায়ের কপি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আরেকটি রায় আসবে তারপরে বাস্তবায়নের দিকে যাবে আদালত বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে খুন হন অধ্যাপক রেজাউল করিম। এ ঘটনায় তার ছেলে রিয়াসত ইমতিয়াজ বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে ৬ নভেম্বর জেএমবির আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে গত বছরের ৮ মে হত্যা মামলায় জেএমবির দুই সদস্যের মৃত্যুদন্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত।

পিবিএ/এএইচ/হক

আরও পড়ুন...