পিবিএ ডেস্কঃ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মানেই স্বাস্থ্যকর ত্বকঃ ব্রণ্রর সমস্যা কমাতে এই দশটি খাবার আজই শুরু করুন নিয়ম মেনে খাওয়া সামান্য একটা ব্রণ যে কতখানি যন্ত্রণার হতে পারে যারা ভুক্তভোগী সকলেই জানেন। ব্রণ মূলত ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা। অতিরিক্ত তেল এবং মৃত চামড়া কোষ জমে রোমকূপ গুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ব্রণ হয়। ব্রণ এড়াতে অন্যান্য প্রসাধনী বা ক্রিম ব্যবহারের পাশাপাশি যদি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনেন তবে উপকার পাবেন নিমেষেই।
বাদামী চালঃ বাদামী চাল ভিটামিন বি, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস। ভিটামিন বি ত্বকের জন্য স্ট্রেস বাস্টার হিসাবে কাজ করে, যা হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ব্রণ প্রতিরোধ করে।
রসুনঃ রসুনও ত্বকের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। অ্যালিসিন নামক একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক রয়েছে রসুনে যা অনেক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে।
ব্রোকলিঃ ব্রোকলিতে আছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, ই এবং ভিটামিন কে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বার্ধক্যজনিত কারণে ত্বকের ক্ষতি আটকায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করে।
মাছঃ ওমেগা -৩ এবং ৬-ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস হল মাছ। ব্রণ কমাতে বেশি করে মাছ খান। ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের প্রদাহ কমায়। সার্ডিন এবং স্যালমন মাছ ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
বাদামঃ জিংক এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের অভাবে ব্রণ হতে পারে। বেশিরভাগ বাদামে সেলেনিয়াম, ভিটামিন ই, তামা, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং লোহা রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য অত্যাবশ্যক।
মৌরিঃ যদি আপনি নিখুঁত প্রাকৃতিক ক্লেনজার মৌরি খান। মৌরি হজমের উন্নতি করে। শরীর থেকে অতিরিক্ত বিষাক্ত তেল বের করে দেয়, ত্বকের প্রদাহ কমায়।
গ্রিন টিঃ অনেক গবেষণাতেই প্রমাণিত যে গ্রিন টি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। সারা দিন বেশি করেই সবুজ চা খান। মুখের যে যে অংশে ব্রণর প্রভাব বেশি সেখানে সেখানে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ঠান্ডা চা ব্যাগ বুলিয়ে নিতে পারেন।
লাল আঙ্গুরঃ লাল আঙুরের বীজে আছে প্রাকৃতিক রাসায়নিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের প্রদাহ, এগজিমা কমাতে সাহায্য করে। লাল আঙুর ত্বকের এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করতে পারে।
আলফালফা ঘাসঃ দেখতে ঘাসের মতোই কিন্তু এই আলফালফা ত্বক পরিষ্কার করতে খুবই উপকারী।
ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনোয়েড সমৃদ্ধ খাদ্যঃ ব্রণর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্যারোটিনয়েড। গাজর, শাক, পাতাকপি, ফুটি, আম, পেঁপে, মটর ও টমেটো, লাল বেল পেপার খান বেশি করে, তাতে ত্বক পাবে পর্যাপ্ত ক্যারোটিনোয়েড।
পিবিএ/এমআর