পিবিএ ডেস্ক: শ্রীলংকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার সকালে পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনেসিকারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ধারাবাহিক এ বোমা হামলায় নিহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। মঙ্গলবার এই গোষ্ঠীর নিজস্ব সংবাদ মাধ্যম আমাক নিউজ এজেন্সি একথা জানিয়েছে।
আমাক নিউজের মাধ্যমে তারা জানিয়েছে, তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় মোট সাতজন আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
এদিকে শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান উইজারডিন জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলংকায় গির্জা, হোটেলসহ কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান উইজারডিন দেশটির পার্লামেন্টে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তে পাওয়া গেছে, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নিতেই রবিবার শ্রীলংকার গির্জা ও হোটেলে বোমা হামলা করা হয়েছে।
ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত ও জামায়াতুল মিলাতু ইব্রাহিম নামে দুইটি ইসলামিক চরমপন্থি সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে এর আগে হামলার ঘটনায় দেশটির `ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত’ বা এনটিজে নামক একটি চরমপন্থী ইসলামি সংগঠন দায়ী বলে ধারণা করে শ্রীলংকার পুলিশ। তাদের ধারণা, ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে তাদের বড় অংশ একটি এই উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। এই গোষ্ঠীটি স্থানীয়ভাবেই তাদের তৎপরতা চালায় বলে বলা হচ্ছে।
দেশটি জানায়, স্থানীয় এই গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক এক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সহায়তায় এ সিরিজ হামলা চালিয়েছে। দেশটির তদন্তকারীরাও এই গ্রুপটির বিষয়ে বিশেষভাবে তদন্ত করছে।
রবিবার ইস্টার সানডের সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশে গির্জা ও হোটেলে সবমিলিয়ে আটটি স্থানে বিস্ফোরণে ৫শ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
ইস্টার সানডে উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা রবিবার সকালে গির্জায় প্রার্থনা করার সময় শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর একটিসহ দেশটির তিনটি গির্জায় একযোগে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। প্রায় একই সময় কলম্বোর তিনটি পাঁচ তারকা হোটেল– শাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবুরিতেও বোমার বিস্ফোরণ হয়।
সকালে ছয়টি স্থাপনায় হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দুপুরে কলম্বোর দক্ষিণাঞ্চলের দেহিওয়ালা এলাকায় একটি হোটেলে সপ্তম বিস্ফোরণটি ঘটে। এরপর কলম্বোর উত্তরে ওরুগোদাওয়াত্তা এলাকায় আরেকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।
পিবিএ/জেআই