মৌলভীবাজারে চায়ের নতুন কুঁড়ি উত্তোলন

পিবিএ,মৌলভীবাজার: আগাম বৃষ্টি হওয়ায় এ বছর মৌলভীবাজার অঞ্চলের প্রতিটি চা বাগান ভরে গেছে দু’টি পাতা আর একটি কুঁড়িতে। চলছে প্রতিটি বাগানে নব উদ্যমে অঙ্কুরিত চায়ের নতুন কুঁড়ি সংগ্রহ। ক্ষণিকের মধ্যে ভরে যাচ্ছে পূরো মুঠি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছরও চায়ের উৎপাদনে আরেকটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে বলে আশা করছেন চা সংশ্লিষ্টরা।

চায়ের উৎপাদন কেমন হবে এটি পূরোপুরি নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। এ বছরের শুরুতে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় চা শিল্পের আশীর্বাদ মনে করছেন বাগান মালিক ও কর্মকর্তাগন। চায়ের গাছে গাছে নতুন করে দু’টি পাতা একটি কুঁড়িতে ভরে গেছে পুরো বাগান। মার্চ মাসের শুরুতে চা বাগানে শুরু হয়েছে চায়ের নতুন কুঁড়ি উত্তোলন। পরিমিত বৃষ্টি পাওয়াতে জেলার চা বাগান গুলোতে গঁজানো কুঁড়ি ক্ষণিকের মধ্যে মুঠি ভরে সংগ্রহ করতে পেরে বাগান কর্তৃপক্ষ বেজায় খুশি।

গত বছরের উৎপাদনের শুরুতে খড়া ও অতি বৃষ্টির পরও উৎপাদন ভাল হয়েছে, তবে পূর্বের রেকর্ড অতিক্রম করতে পারেনি। এ বছরের শুরু থেকে চায়ের আশানুরুপ উৎপাদন হচ্ছে। পরবর্তী দিনগুলোতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর চায়ের উৎপাদনে আরেকটি রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।

চা আমদানীর উপর ট্যাক্স বাড়িয়ে রাখলে চায়ের নিলামে উপযুক্ত মূল্য মিলবে, এতে করে বাগান মালিকদের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। পাশপাশি চায়ের উৎপাদন বেড়ে আভ্যন্তরীন চাহিদা মিটিয়ে পূর্বের ন্যায় বিদেশে রপ্তানি করা সম্বভ হবে। চা বোর্ড জানিয়েছে, ২০১৬ সালে ৮৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করে চা শিল্পে রেকর্ড সৃষ্টি করে। পরের বছর ২০১৭ সালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন নেমে আসে ৭৯ মিলিয়ন কেজিতে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আবহাওয়া অনুকুলে আসায় আবারও ৮২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।

সরকারী, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও বিদেশী কোম্পানীর ছোট বড় মিলিয়ে দেশে ১৬৪ টি চা বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে ৯২টি চা বাগান। পানীয় হিসেবে প্রতিদিন চায়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা বিজ্ঞানিরা মনে করেন, সঠিক পরিচর্যা ও চা চাষের উপযোগী জমি বাড়ানো সহ বাগানের পূরোনো গাছ অপসারণ করে নতুন করে উন্নত জাতের চারা লাগালে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।

পিবিএ/টিপি/আরআই

আরও পড়ুন...