তাড়াশের যৌন হয়রানির ভয়ে ছাত্রীরা স্কুল বিমুখ

পিবিএ,সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাঝদক্ষিণা গ্রামে বখাটেদের যৌন হয়রানির ভয়ে স্কুল বিমুখ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী।বখাটেদের অত্যাচারে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তাড়াশের মাঝদক্ষিণা কে. আর. উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী। অভিযুক্তদের ভয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে।

প্রতিদিনই স্কুল শুরু ও ছুটির সময় এলাকার সংঘবদ্ধ একটি বখাটে দল বাজারে দাঁড়িয়ে মাঝদক্ষিণা কে. আর. উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উদ্দেশে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উঠতি বয়সের এসব বখাটেদের উৎপাতে অসহায় হয়ে পড়েছে ছাত্রীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ এমনকি এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিক এবং লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ দিয়ে উল্টে অভিযুক্তদের তোপের মুখে কয়েকজন শিক্ষার্থী গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ‘‘প্রায় প্রতিদিনই স্কুলে যাওয়ার পথে কয়েকজন বখাটে বাজারের কম্পিউটারের দোকানে বসে থেকে আমাদের উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগের পর তাদের হুমকির কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা স্কুলে যাচ্ছিনা।’’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী বলেন, ‘‘গত ২০ এপ্রিল দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী লিখিত ভাবে অভিযোগ করে জানান এলাকার ও বহিরাগত কয়েকজন বখাটে উত্ত্যক্ত করেছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি জানানো হলে কয়েকদিন ধরেই অভিযোগকারী মেয়েরা স্কুলে আসছে না। এটা বখাটেদের কারণেও হতে পারে। বুধবার এ নিয়ে বসার কথা ছিল।’’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বার্তা সংস্থা পিবিএকে বলেন , ‘‘প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পেয়ে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে বুধবার বসার কথা ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে বসতে পারিনি। আগামী রবিবার বৈঠক হতে পারে।’’

তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বার্তা সংস্থা পিবিএকে বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি আমি অবগত নই। ওই গ্রামে প্রাইমারী স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। বিষয়টি পূর্ববর্তী দ্বন্দ্বের জের কি-না, তারও খোঁজ-খবর নিয়ে দেখতে হবে।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা সংস্থা পিবিএকে জানান, গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে আজই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় অভিভাবক বা ইউপি চেয়ারম্যানের কেউই আমাকে বিষয়টি জানায়নি।

পিবিএ/এসএলকে/এমএস

আরও পড়ুন...