ময়না তদন্ত করে মৃতদেহের পেট থেকে ১১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার

পিবিএ,ঢাকা : ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়না তদন্ত করে এক যুবকের পেট থেকে ১১ টোপলা ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়না তদন্ত করা হয় জুলহাস মিয়া (৩২) নামের ওই যুবকের। এসময় তার পেট থেকে একেএকে ১১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ির উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে কয়েক পোটলা গলে গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ সোহেল মাহমুদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেলা ১২ টার দিকে জুলহাসের মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্ত করে জুলহাসের পেট থেকে কাগজে মোড়ানো ১১ পোটলা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে কয়েক পোটলা ইয়াবা গলে গেছে। ইয়াবা গুলো পরিক্ষানাগারে পাঠানো হয়েছে।

মতিঝিল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হাসান খান জুলহাসের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার ভোরে কমলাপুর মসজিদের পাশের রাস্তায় জুলহাসকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তখন তিনিই জুলহাসকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় মারা যায় জুলহাস।

তিনি বলেন, অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ছোটভাই সোহাগকে খবর দেওয়া হয়। তাদের বাড়ি নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলার আক্কাস মিয়ার ছেলে জুলহাস। এলাকাতে কাঠের ব্যবসা করতো সে। স্ত্রী জরিনা আক্তার। দুই মেয়ে লাইবা (৩) ও টয়া (১)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত জুলহাসের ছোটভাই মেহেদী হাসান সোহাগ জানান, গত ২১ তারিখ জুলহাস বাড়ি থেকে ঢাকার মিরপুরে আসে। ২৪ তারিখ শেষ কথা হলে জুলহাস তাকে জানায় যে, সে ঢাকার চকবাজারে আছে।

ছোটভাই মেহেদী গাজিপুর ক্যান্টনমেন্টে টেকনোশিয়ান। ২৪ তারিখ জুলহাস তাকে জানায়, দুএকদিনের পর বাড়ি যাওয়ার সময় সোহাগের সাথে দেখা করে যাবে। গতকাল সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মুগদা হাসপাতালে গিয়ে জুলহাসকে দেখতে পায়। পরে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পিবিএ/এইচ আ/এমএস

আরও পড়ুন...