আখাউড়ায় ফেরিওয়ালাদের জমজমাট ব্যবসা

পিবিএ,আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): আখাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে দিন দিন ফেরিওয়ালাদের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। গ্রামের পথে ঘাটে বাড়িতে বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন। হাতের নাগালে ওইসব জিনিস পাওয়ায় অনেকেই তাদের কাছ থেকে মালামাল ক্রয় করছেন।

সকাল থেকেই গ্রামের পথে ঘাটে বাড়িতে বাড়িতে ফেরিওয়ালাদের হাঁকডাক শোনা যায় । সবজি,মাছ,ফল, প্লাষ্টিক সামগ্রী,তৈরী পোশাক,গজ কাপড় লেইস ফিতা, চুড়ি, সহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য রয়েছে তাদেও কাছে। জীবন জীবিকার তাগিদে বিরামহীন ভাবে অনেক নারী পুরুষ গ্রামে গঞ্জে ছুটে করছেন এ ক্ষুদ্র ব্যবসা । উপজেলার অন্ত:ত অর্ধশতাধিক পরিবার এই ক্ষুদ্র পেশায় যুক্ত হয়ে ঘুড়িয়েছেন তাদের ভাগ্যের চাকা।

এক সময় মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করতে অনেক কষ্ট করে শহরে যেতে হতো। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। বাজারের জন্য কোন চিন্তা করতে হয় না। গ্রামে গ্রামে ফেরিওয়ালাদের বিচরণ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল খুশিমনে ক্রয় করছেন।

আখাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে দিন দিন ফেরিওয়ালাদের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে।
ফেরিওয়ালাদের জমজমাট ব্যবসা

সরেজমিনে আখাউড়া পৌর শহরের রাধানগর, কলেজপাড়া, মসজিদপাড়া দেবগ্রাম, তারাগন, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর, হিরাপুর, বাউতলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা যায় ফেরিওয়ালারা ভ্যান গাড়ি দিয়ে সবজি,মাছ,ফল, আর কাদে করে প্লাষ্টিক সামগ্রী,তৈরী পোশাক,গজ কাপড় লেইস ফিতাসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য । তারা অতি সহজেই ওইসব পণ্য সাধারণ মানুষের দোরগড়ায় নিয়ে যাচ্ছে। বিক্রেতারা জানায় বৎসরের বেশী ভাগ সময় গ্রামে গ্রামে ওইসব ভোগ্যপণ্য বিক্রি করা হয়।

সবজি বিক্রেতা মো.সবুজ মিয়া জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাজার থেকে নানা প্রকার সবজি ক্রয় করে সকল বেলায় গ্রামে গ্রামে বিক্রি করা হয়। সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত চলে বেচাকেনা। মাছ বিক্রেতা আলফু মিয়া বলেন প্রতিদিন ভোরে স্থানীয় বাজার থেকে মাছ নিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করা হয়। গ্রামে মাছের চাহিদা ভাল থাকায় নানা প্রকার কাছ আনা হয়। প্রতিদিন ৬০-৭০ কেজি মাছ ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে বিক্রি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করা হয়। ওই মাছ বিক্রি করে ৫শ টাকার উপর আয় হয় বলে জানায়।

কাপড় বিক্রেতা নবীনগরের জালাল মিয়া বলেন আখাউড়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে গ্রামে গ্রামে ক্ষুদ্র ব্যবসা করছি। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে গজ কাপড় কিনে মানুষের দোরগড়ায় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এ ব্যবসা করছি। গ্রামে গ্রামে কাপড় বিক্রি করে খরচ বাদে দৈনিক ৫শটাকার উপর আয় হয় বলে জানায়। যে দিন আকাশ ভাল থাকে না ওই দিন অবসর থাকতে হয়।

এসব ব্যবসার সাথে জড়িত পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার সবুজ মিয়া, লাল বাজারের আনু মিয়া, ভবানিপুরের গোপাল, রাজেন্দ্রপুরের আলফু মিয়া ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরের মালেক মিয়া, মামুনসহ একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানায়, সবজি,মাছ,ফল, প্লাষ্টিক সামগ্রী,তৈরী পোশাক,গজ কাপড়সহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য বিক্রি করছেন ।

পৌর শহরের তারাগন গ্রামের ক্রেতা লুৎফা আক্তার বলেন, স্বামী প্রবাসে থাকে। বাড়িতে তেমন লোকজন নেই। শহরে গিয়ে সব সময় বাজার করা সম্ভব হয় না। তাই ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে নিত্যদিনের বাজার করা হয়। মোছা: শিরিন আক্তার বেগম বলেন, মাছ সবজিসহ সবকিছুই এখন বাড়িতে ফেরিওয়াদের কাছে পাওয়া যায়। তারা স্থানীয় বাজারের দরেই কেনা বেচা করে থাকে। বড় কোন প্রয়োজন ছাড়া বাজারে যেতে হয় না। মো. খোরশেদ মিয়া বলেন, দৈনিক শ্রম বিক্রি করে চলতে হয়। বাজারের জন্য এখন আর চিন্তা করতে হয় না। অতি সহজে ফেরিওয়াদের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয় করা হয়।

পিবিএ/কেএমআই

আরও পড়ুন...