পিবিএ,নাটোর: পিবিএ-তে নিউজ প্রকাশের দুই ঘন্টার মাথায় বয়স্ক ভাতা কার্ড পেলেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মজিরন বেওয়া।
রবিবার সকাল ১১টা ৫১ মিনিটেবার্তা সংস্থা পিবিএ’র অনলাইনে ‘একখান ভাতা কার্ড দেন বাবা’ এই শিরোনামে নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর তা গুরুদাসপুর প্রশাসনের নজরে পড়ে। দুপুর ২টার দিকে পিবি’র সাংবাদিক নাজমুল হাসান নাহিদকে ফোন দিয়ে বিধবা মজিরন বেওয়ার তথ্য নেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মো.রাজ্জাকুল ইসলাম।
পরে তার মৌখিক নির্দেশে গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম তার টিম নিয়ে বিধবা মজিরন বেওয়ার বাড়িতে গিয়ে তার হাতে ভাতা কার্ড তুলে দেন।
এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মো.রাজ্জাকুল ইসলাম পিবিএর সাংবাদিককে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, আপাতত তার ভাতা কার্ড পৌছানো হয়েছে। তার পঙ্গু ছেলের জন্যও খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, মজিরন বেওয়ার বর্তমান বয়স ৫৭ বছর। বর্তমানে এক পঙ্গু ছেলে আর এক অবিবাহিত মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। স্বামী মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। স্বামী মারা যাওয়ার পরপরই ছেলে মেয়ে সংসার নিয়ে দুর্বিশহ জীবন যাপন করছেন তিনি।
স্বামী মারা যাওয়ার পরপরই ছেলে মেয়ে সংসার নিয়ে দুর্বিশহ জীবন যাপন করছেন তিনি।
এর আগে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও নিজের পরিশ্রমে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন মজিরন বেওয়া। একটি ছেলে বিয়ে করে অন্য জায়গায় চলে গেছে। মায়ের সংসারে দেখাশোনা করেন না, খোঁজও রাখে না। এখনও তার সংসারে একটি অবিবাহিত মেয়ে ও একটি পঙ্গু ছেলে রয়েছে।
মজিরন বেওয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে তিনটি মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। আমার হাত পা ব্যাথা ও জ্বালা যন্ত্রনা করে। সকালে উঠে কাজে যেতে অনেক কষ্ট হয় বাবা। তারপরও যেতে হয়। কারন আমার যে আরো একটি মেয়ে বাড়িতে আছে তাকে তো বিয়ে দিতে হবে এবং পঙ্গু ছেলের চিকিৎসা খরচ যোগাতে হয়।
মেয়েটাও অন্যের বাড়িতে কাজ করে। আর ছেলে তো পঙ্গু, সে কিছু করতে পারে না। আমি যদি একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকি তাহলে বাড়িতে সবার না খেয়ে থাকতে হয়। অন্যের জমিতে রসুন তোলা, ইরি বোরো ধানের জমিতে আগাছা পরিষ্কার করা কখনও বা অন্যের বাড়িতে কাপড় ধোয়া, বাড়ি পরিষ্কারের কাজ করে সংসার চালাতে হয়।
পিবিএ/এএইচ