পিবিএ,জাককানইবি: সাম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি ও অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট সিদ্ধার্থ দে সিধুর উপর আনিত ছাত্র উপদেষ্টা হওয়ার চেষ্টা ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তথ্য বিভ্রাট স্পষ্ট করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দে সিধু।
রবিবার দুপুর ১২ টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আমিন।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রনব কুমার মণ্ডল,আল মঞ্জুর এলাহী, কল্যানাংশু নাহা, মেহেদী উল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘গত ২৭-০৪-১৯ তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যেখানে মারাত্মক ভুল তথ্য রয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি অথচ একই দলের কে বা কারা দলের পক্ষে অনাস্থা জানিয়ে পত্রিকায় বার্তা প্রেরণ করেছেন, অথচ এই সম্পর্কে আমি অবগত নই। যেকোন সিদ্ধান্তই দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে সাধারণ সভায় আলোচনা করে গৃহীত হয় বলেই আমরা জানি। এর বাইরে কোনো ধরণের একক সিদ্ধান্ত নেবার এখতিয়ার গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। যারা গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য সাধারণ সকল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আমরা নিন্দা প্রস্তাব জানাচ্ছি।’
ছাত্র উপদেষ্টা হওয়ার ব্যাপারে বক্তব্য স্পষ্ট করে তিনি বলেন ‘ অগ্নিবীণা হল প্রভোস্টের বাইরে একাধিক পদ পাবার ক্ষেত্রে আমার কোন সুযোগই নেই, অথচ পত্রিকাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে আমি ছাত্র উপদেষ্টা হতে চাই। প্রকৃত ঘটনাটি হলো, কাউকে ছাত্র উপদেষ্টা দেবার আগে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে সিলেকশন দিতে আমরা অনুরোধ জানাই।যেটি না করায় এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।’
সেজন্য উল্লেখিত সংবাদে বর্ণিত তথ্য সত্য নয় বরং বানোয়াট বলে অভিযোগ করেন সিদ্ধার্থ দে। গত ১৮ই এপ্রিল উপাচার্য প্রফেসর ড এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর জালাল উদ্দিন (নিয়মানুযায়ী রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কে অবহিত করতে গেলে বাক্যালাপে সিদ্ধার্থ দে সিধুকে ভুল বুঝেন বলে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু নীলদল সভাপতি।
এদিকে বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতিকে নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু নীল দলের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম এর বক্তব্য থেকে জানা যায়, কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট ১৭ জন সদস্যের মধ্যে গত ২৩শে এপ্রিল, সিদ্ধার্থ দের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মঙ্গলবারের সভায় ১৩ জন স্বাক্ষর করেছেন। বাকিরা সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
কোষাধ্যক্ষ মো. জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৮ এপ্রিল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না। নিয়ম অনুযায়ী ওই দিন আমিই ছিলাম ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। সকালে সিদ্ধার্থ দে আমাকে ফোন করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেন। ছাত্র উপদেষ্ট হিসেবে নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি এসব কটূক্তি করেন।’
এ নিয়ে তৎক্ষণাৎ কটূক্তির বিষয়টি অস্বীকার করার পর আজ সংবাদ সম্মেলনে
সিদ্ধার্থ দে বলেন, ‘আমি এরকম কিছুই করিনি।অগ্নিবীণা হল প্রভোস্টের বাইরে একাধিক পদ পাবার ক্ষেত্রে আমার কোন সুযোগই নেই। উপাচার্যের অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর জালাল উদ্দিন কে অবহিত করলে তিনি বিষয়টিকে কটূক্তি হিসেবে নিয়েছেন এবং আমাকে ভুল বুঝেছেন। যেটি দুঃখজনক।
পিবিএ/এএ/হক