জেনে নিন ব্রেস্ট ম্যাসাজের উপকারিতা

পিবিএ ডেস্কঃ অনেকেরই ব্রেস্টের বৃদ্ধি সেই ভাবে হয় না বয়সের সাথে সাথে। স্তনের সাইজ ঠিক রাখা,ব্রেস্ট যাতে ঝুলে না পরে সেই জন্য ব্রেস্ট ম্যাসাজ করা দরকার এটা অনেকেই জানেন। কিন্তু জানেন কি ব্রেস্ট ম্যাসাজের আরও অনেক গুণ আছে। শুধু ব্রেস্টর বৃদ্ধি ঘটাতে নয়, আরও অনেক উপকারিতা আছে ব্রেস্ট ম্যাসাজের। জানুন কিভাবে করবেন ব্রেস্ট ম্যাসাজ। এবং কেন করবেন।

ব্রেস্ট ক্যান্সারঃ এখন প্রচুর মানুষের এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে অনেকটাই সাহায্য করে ব্রেস্ট ম্যাসাজ। ব্রেস্ট ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং মেয়েদের শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোনের পরিমাণ বাড়ে। যা কিনা ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই হরমোন ব্রেস্ট ক্যান্সার হাওয়া থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ব্রেস্ট ম্যাসাজ করলে ব্রেস্টের টিস্যুগুলির পরিবর্তন হয়। যা ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

ব্রেস্টে ব্যথাঃ অনেকেরই ব্রেস্টে ব্যথা হয় যখন পিরিয়ড চলে। এই ব্যথা কমাতে ব্রেস্ট ম্যাসাজ করা দরকার। নিয়মিত ব্রেস্ট ম্যাসাজ করলে এই ধরনের ব্যথা, অস্বস্তি কমে যায়। কিন্তু যদি খুব বেশি ব্যথা করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

ব্রেস্ট স্যাগিংঃ অনেকেরই ব্রেস্ট খুব অল্প বয়সেই ঝুলে যায়। এতে খুবই অস্বস্তি হয় ও বাজে দেখতে লাগে। এটি আটকাবার জন্য ব্রেস্ট ম্যাসাজ দরকার। রোজ একটু করে, বা সপ্তাহে তিনদিন করলে এই সমস্যা আটকান যায়। ব্রেস্ট ম্যাসাজ ব্রেস্টকে টাইট রাখতে বেশ সাহায্য করে। তার ফলে ব্রেস্ট ঝুলে যায় না।

ব্রেস্ট শেপঃ অনেকেরই শরীরের বৃদ্ধি ঘটার সাথে সাথে ব্রেস্টের বৃদ্ধি সেই ভাবে ঘটে না। এর জন্য নিজের খুবই অস্বস্তি হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্রেস্ট ম্যাসাজের থেকে ভালো আর কিছু হয়না। নিয়মিত ব্রেস্ট ম্যাসাজ করলে ব্রেস্টে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। টিস্যুগুলির পরিবর্তন হয়। তার ফলে ধীরে ধীরে ব্রেস্ট বাড়তে থাকে। রোজ গোসলের সময় ব্রেস্ট ম্যাসাজ করলে দেখবেন আস্তে আস্তে ব্রেস্টের বৃদ্ধি ঘটছে।

ডিপ্রেশনঃ ব্রেস্ট ম্যাসাজ শুধু ব্রেস্টের বৃদ্ধি ঘটাতে, বা ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে না, বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে, নিয়মিত ব্রেস্ট ম্যাসাজ নাকি ডিপ্রেশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ব্রেস্ট ম্যাসাজ তিনটি এমন হরমোনের বৃদ্ধি ঘটায় যা এই ডিপ্রেশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ সাহায্য করে। এগুলি শরীরের এজিং প্রসেসকেও নিয়ন্ত্রণ করে। যেটি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে, তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

ব্রেস্ট ম্যাসাজ করার নিয়ম নিন্মে আলোচনা করা হলোঃ

১. ব্রেস্ট যদি বেশি ঝুলে যায় তাহলে, অয়েল ম্যাসাজ করুন। অলিভ তেল বা নারকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এছাড়াও বরফ ম্যাসাজ ব্রেস্টকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। কয়েকটা বরফের টুকরো নিয়ে ব্রেস্টের চারপাশে গোল করে ম্যাসাজ করুন। বা কাপড়ের মধ্যে বরফ নিয়েও ম্যাসাজ করতে পারেন। এতেও কাজ হবে।

২. এছাড়াও সরষের তেল সবার বাড়িতেই থাকে। একটু সরষের তেল গরম করে ব্রেস্টএর চারপাশে গোল করে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। বা ব্যবহার করতে পারেন খাঁটি মধু। এটি ব্রেস্টের শেপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সাথে সাথে ম্যাসাজের ফলে রক্ত সঞ্চালনও বাড়ে।

৩. যদি হাতের কাছে কোন তেল না থাকে তাহলে, হাত দুটো ঘষে প্রথমে গরম করে নিন। তারপর গরম হাত দুটো ব্রেস্টের তলায় রাখুন। এরপর দুটো হাত দুদিক থেকে, একটা হাত ঘড়ির কাঁটার দিকে আর অন্য হাতটি ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে ম্যাসাজ করুন। রোজ ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই ম্যাসাজ করুন।

তাহলে দেখলেন তো ব্রেস্ট ম্যাসাজেরও কত গুণ রয়েছে। তাই ব্রেস্ট ম্যাসাজ শুধু ব্রেস্টের সৌন্দর্য বাড়াতে নয়, ব্রেস্ট ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগের হাত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে রোজ একটু করে ব্রেস্ট ম্যাসাজ করুন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...