ঔষধ কিনতে কিনতে জীবন শেষ, ভাত খাব কি দিয়ে

পিবিএ,কলারোয়া (সাতক্ষীরা): প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। জনজীবন শুধু দুর্বিষহ’ই করে তুলছে না বরং এ গরমে নানা রোগেও আক্রান্ত হতে হচ্ছে জিরো বয়সী শিশু থেকে কিশোর-বৃদ্ধসহ কর্মক্ষম সকল বয়সী মানুষকে। তারপরও কাজের অন্ত:নেই কৃষক,শ্রমিক,দিনমজুরসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের। জীবিকা নির্বাহের জন্য যে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয় মানুষের এবং জীবনের শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে মানুষ। শুধু যে জীবিকা নির্বাহের জন্য পরিবারের কর্তাকে নিরালস পরিশ্রম করতে হয় সেটাও আবার ঠিক নয়।চন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। জনজীবন শুধু দুর্বিষহ'ই করে তুলছে না বরং এ গরমে নানা রোগেও আক্রান্ত হতে হচ্ছে জিরো বয়সী শিশু থেকে কিশোর-বৃদ্ধসহ কর্মক্ষম সকল বয়সী মানুষকে

সেই জীবিকা নির্বাহের মাঝে মাথার ভেতর ঘুর্নয়পাক খায় পরিবারে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সী সদস্যের নানা রোগে আক্রান্তে চিকিৎসার খরচও। গরীব-মধ্যবিত্ত কৃষক এবং শ্রমিক দিনমজুরসহ পরিবারে কর্মক্ষম কোন মানুষই অসুস্থতা নিয়ে বসেও থাকতে পারেন না বরং নিজ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আহার চিকিৎসা ও ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ জোগানোর দায়িত্বে ছুটে চলেন নিরন্তর। থাকতে হয় বিভিন্ন কর্মে নিযয়োজিত এবং দিনের পর দিন কাটাতে হয় নানা জীবন যুদ্ধের কষ্টে খেটে খাওয়া সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে। আর সেই জীবন যুদ্ধের মাঝে-প্রকৃতির নিয়মানুসারে জনজীবনে নেমে এলো প্রচন্ড গরম।

আর এ গরম সহ্য করাও দুরহ ব্যপারে পরিনত হয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল মানুসের পক্ষে। তবুও থেমে নেই পরিবারে কর্মক্ষম কোন মানুষের জীবন। নিরন্তর ছুটে চলেছে একেক মানুষ বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে এবং প্রচন্ড রোদের ভ্যপসা গরমে শুর হয়েছে কৃষকের ধান কাটা এবং সাথে অন্ত নেই ভ্যান রিকশা চালকসহ সকল শ্রেণীর দিনমজুর ও শ্রমিকদের কাজেরও। বেড়েই চলেছে তাদের কাজের তৎপরতা ও ছুটে চলা সারাটি দিন ধরে।

উঠতি ফসল ঘরে তুলতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবিরত কাজ চলছে সারা দেশের ন্যায়-সাতক্ষীরা কলারোয়ার ১২টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে। আকাশ গুমট ভাব দেখা দেওয়া আর নানা সংবাদ মাধ্যমে-আবহাওয়ার বিভিন্ন খবরাখবর যেনো কৃষকের বুকে ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে ফসল বিনষ্ঠের ভয়।

সম্প্রতি কিছু দিন ধরে শুরু হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকার মাঠে ধান কাটার কাজ। যার ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক এবং দিনমজুর মানুষগুলো। কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এ ভরা মৌসুম টাকা রোজগার করার একটা মোক্ষম সময় বলেও মনে করছেন দিনমজুর মানুষগুলো।

কিন্তু প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে শিশু থেকে বৃদ্ধ এবং দিনমজুর মানুষের কর্ম ক্ষেত্রের জীবন। নানা ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে মায়ের কোলের ছোট্ট শিশু এবং বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণী পেশার দিনমজুর মানুষকে। যেটা উপজেলার-গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ফার্মেসি হাসপাতাল ক্লিনিকগুলোতে অসুস্থ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।এ গরমে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষকে বেশিই কষ্টের স্বীকার হতে হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই। অবশ্য অসুস্থতার কোন বয়স এবং গরীব গৃহস্থতা নেই। কৃষক,শ্রমিক-দিনমজুরসহ সকল মানুষের জীবনের উপর দিয়ে বয়ে যায় এবং জীবন বাঁচাতে ঔষধ খেয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।তার পরেও দু বেলা দুমুঠো খেয়ে বাঁচার লড়াাই থেকেই যায় মানুষের।

জীবিকা নির্বাহের জন্য এ অতিষ্ঠ গরম স্বীকার করে কাজ করতে হচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরীব খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষকে। দিন শেষে পাওয়া যায় ৪-৫’শ টাকা। সারা দিন কাজ করে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে এ গরমে এবং নানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে পরিবারের শিশু ও অন্যান্য সদস্যদের।কয়েক দিন বাকি রমজান মাসের রোজা,তার আগেই কাঁচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বেশ চড়া।

সাদা ভাত’ ত আর খেয়ে জীবন ধারণ করা সম্ভব না পরিবারের ছেলে মেয়ে ও নিজেদের,সেক্ষেত্রে কাঁচামালসহ অন্যান্য জিনিসের দামও বেশি বর্তমান।সারাদিন কাজ করে যে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়,তাতে খাব কি আর পরিবারের সদস্যসহ নিজে সুস্থ হতে ঔষধ কিনব কি দিয়ে? ঔষধ ফার্মেসি,হাসপাতাল,ক্লিনিকে গেলেই টাকা শেষ হয়ে যায় এমনকি ঔষধ কিনতে কিনতে জীবন শেষ ভাত খাব কি দিয়ে এমনটাই আক্ষেপ করেন কলারোয়া উপজেলাধীন এলাকার ইফাছদ্দিন নামে প্রতি নিয়ত ফার্মেসিতে ছুটা এক দিনমজুর। এছাড়াও এমন আক্ষেপ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরও।

এদিকে কৃষকেরা রোপন থেকে শুরু করে উঠতি ফসল ঘরে নিতে অনেক ব্যয় বহুল খরচের দাবি করে,ধানের বাজারদর যেন ভাল পাওয়া যায় এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন অনেকেই।

পিবিএ/কেএস/আরআই

আরও পড়ুন...