রিবেল মনোয়ার: প্রতিটি মানুষ এক অফুরন্ত সম্ভাবনা। প্রতিটি মানুষের মুখ , চোখ আমার কাছে খনি থেকে আবিস্কার হওয়া হীরের টুকরো মনে হয়। মনে হয়ে এক একটি তারকা। উজ্বল তারকা । যারা নিজেদের আলো ছড়ায়। সব শিল্পী মানুষের মুখ আঁকতেই সারাটা জীবন ব্যয় করেছেন। আমিও সে চেষ্টাই করি।
আমি চশমাপড়া একজনের চোখের দিকে তাকালে একটি প্রেমিক হৃদয় দেখতে পাই।এই প্রেম কখনো কাজের প্রতি, কখনো পরিবারের প্রতি, কখনো পাশের মানুষটির জন্য। কখনো একটি কবিতার জন্য।
আমি বিশ্বাস করি মহাপুরুষ বা বড় মানুষরা অন্যগ্রহ থেকে আসেন না। আমাদের মাঝে তৈরি হয় বড় বড় মানুষ। শুধু বন জঙ্গলেই সাধনা করে সাধক তৈরি হয়না।
প্রতিদিন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা মানুষদের মধ্যেও তৈরি হয় সাধক ও মহামানব। হয়তো সময়ের ব্যবধানে কোনটা প্রকাশ পায় ,কোনটি প্রকাশ পায়না। আমি ঘামে ভেজা মানুষদের চোখে, ঘামের পানিতে সত্যের প্রতিফলন দেখতে পাই। ঘাম মানুষকে সবচেয়ে বেশি পবিত্র করে। ফুলের সৌরভ আসে মানুষের ঘাম থেকে।
সৈয়দ ঋয়াদ। কাদামাটির গন্ধমাখা গ্রামের ছেলে। বুকে অনেক স্বপ্ন। রয়েছে হাহাকার। আমাদের চারপাশের একজন মানুষ।
পেশায় সাংবাদিক। ছোটবেলায় স্বপন ছিলো শিক্ষক হবেন। এখনও স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হবেন। খুব অকপটে সত্য বলা একজন তরুণ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়াইল উপজেলার শাজবাজপুর গ্রামে জন্ম ২৮ এপ্রিল। শাহবাজ একজন জমিদার ছিলেন একজন শাহজাদা একজন শাহবাজ।
মায়ের নাম তাহেরা বেগম। ৫ মাস আগে চলে গেছেন। আর তার বাবা সৈয়দ কানু মিয়া চলে গেছেন আরও আগে। চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেন। যোগ দেন সাংবাদিকতায়।
২০১১ সাল থেকে কাজ করছেন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময়ের প্রতিবেদক হিসেবে। কাজ করেছেন প্রথম আলো, বিডিনিউজের সাথে। একটি বেসরকারি টিভিতেও কাজ করেছেন।
শাহবাজপুর হাইস্কুল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এরপর সাউথইস্টবিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় লেখাপড়া করেছেন। কিন্ত জীবনের পাঠশালাতে শিখেছেন দুনিয়ার হালচাল। খুব নিবিড়ভাবে দেখেছেন রাজনৈতিক, কর্পোরেট শোষণ আর বৈষম্য। সবময় মনে থেকে মাটির টান অনুভব করেন এই তরুণ লেখক।
ফরিদুর রেজা সাগরের ‘মানুষের মুখ’ বইটি আমার চিন্তার জগতে অনেক পরিবর্তন এনেছে। আমি বইটি বারবার পড়ি আর মানুষকে দেখি। আমি সবসময় খুঁজে পাই এক প্রশান্তি।
মের বানানটি আলাদা কেন এর উত্তরে বার্থডেসেলিব্রেশন ক্লাব টিমকে বলেন, রি দিয়ে সবাই রিয়াদ লিখে। ভাবলাম উচ্চারণ একই থাকে ব্যতিক্রমভাবে লেখা যায়। তাই সৈয়দ ঋয়াদ ঐবাবেই নামটি লিখি।
আমি যখন কারো জন্মদিন নিয়ে লিখতে যাই তখন প্রিয় কবি রফিক আজাদের একটা কবিতা মনে পড়ে—’খুব খুঁটিয়ে মানুষ দেখি/ যেমন করে বরের বাবা/ কনের চলাফেরা এবং/ চুল থেকে তার পা অব্দি/ দেখতে থাকে।/ ঠিক তেমনই মানুষ দেখি। মানুষ দেখি।
এ তরুণকে দেখে আমার ভালোবাসার মানুষ মনে হয়েছে।
নিজের স্মৃতিচারণ করে বলেন, শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম। সৈয়দ আজিজুর রহমান। জয় নারায়ণ। হান্নান স্যার। স্বদেশচন্দ্র দেবনাথ স্যারদের মতো । ইচ্ছেটা মরে যায়নি। উপযুক্ত সময়ে আবারও যুক্ত হবেন।
ঘটনাক্রমে সাংবাদিকতায় এসেছি। সামনে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন আছে। বিয়ে করেছেন । মেয়ের বয়স ৩০ দিন। মাদিহা মেহেরিশ । সুখি পরিবার।
সাংবাদিকতায় তরুণ সাংবাদিক সালমান তারেক শাকিল সৈয়দ ঋয়াদের আইকন । তিনি বলেন, সালমান তারেক শাকিল আমার সমবয়সি হলেও তিনি আইকন কারন তার জীবনজুড়ে সাংবাদিকতাই সব। তিনি সাংবাদিক করেন ভালোবেসে ।
আর উদ্যোক্তা হিসেবে কৃষি সেক্টরের উদ্যোক্তা তোফাজ্জল হোসেন ইয়ামিন তার আইকন।
ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে জার্মান লেখক ও কবি বলেছেন, মানবজীবনের পরিণাম সম্পর্কে বলেন—ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে আসে—কাছের সবকিছু হয়ে যায় বহুদূরের গোধূলি। তবু মানুষ থাকে তার মুখ অম্লান।
সৈয়দ ঋয়াদ। আমরা একসাথে বিশ্বজয় করবো। আমরা সব স্বপ্নকে ছুঁয়ে যাবো।
লেখক: সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন -বিওজেএ