পিবিএ,নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার খবর শুনে পিতা মো. খালেক (৩৫) ও পূত্র মো.তামিম (৮) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর সদরের চাঁচকৈড় পুড়ান পাড়া এলাকায়। পিতা-পূত্রের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্ব্যাস্থকমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, খালেক চাপিলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মো.ইসাহক আলীর ছেলে। ১০/১২ বছর আগে চাঁচকৈড় পুড়ানপাড়া গ্রামের মো.দেরেষ মোল্লার কন্যা মোছা.তানজিলা (৩৩) এর সঙ্গে বিবাহ হয়। তার দুই/তিন বছর পরে তাদের একটি সন্তানও হয়। কিন্তু ছেলের বাড়ির লোকজন ছেলের বউ অর্থাৎ তানজিলা কে অনেক নির্যাতন করতো। তাই ২ বছর আগে সেখান থেকে খালেক একেবারে চলে আসে তানজিলার বাবার বাড়িতে। বর্তমানে তারা সেখানেই থাকতো। কিন্তু স্বামী নির্যাতন করে এই অভিযোগ এনে গত ২ মাস আগে তানজিলা তার স্বামী খালেক কে তালাক দেয়। এবং অন্য আরেকটি ছেলের সাথে সম্পর্ক করেছে বলে তার স্বামী অভিযোগ করেছিলো। তালাক ও স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনা জানার পর থেকেই খালেক অনেক স্তব্ধ হয়ে থাকতো। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ ছেলে তামিমকে তার শশুর বাড়ির রাস্তার কাছ থেকে ডেকে এনে খালেক নিজেও বিষ পান করে এবং ছেলেকেও ফুষলিয়ে বিষ পান করায়। তৎখনাত স্থানীয় লোকজন তাদের এ কান্ড টের পেয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্ব্যাাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
স্ত্রী তানজিলা খাতুন মুঠোফনে বলেন, আমার স্বামী আমাকে অনেক নির্যাতন করতো এবং কোন কাজ কাম করতো না। আমার পরিশ্রমের টাকায় সংসার চলতো। এ জন্য তাকে ২ মাস আগে তালাক দিয়েছি। খালেক আমার ছেলে তামিমকে জোড় করে ভ্যানের ওপর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সে নিজেও বিষ খেয়েছে এবং আমার ছেলেকেও বিষ পান করাইছে। পরকীয়ার ঘটনা সাজানো এবং মিথ্যা।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো.রবিউল করিম শান্ত পিবিএ’কে জানান, পিতা-পূত্র দুজনের অবস্থাই গুরুত্বর। তারপরও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেলেকে একটু সুস্থ করা হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্জুনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
পিবিএ/এনএইচ/হক