চলনবিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভ্রাম্যমান চাউল মাড়াই কল

পিবিএ,গুরদাসপুর (নাটোর): চলনবিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভ্রাম্যমান চাউল মাড়াই কল। সল্প সময়ে অল্প খরচে বাড়ির উঠানেই ধান মাড়াই করা যায় এই মেশিনে। তাই ধান চাষিরা চাউল মাড়াই করতে ভ্রাম্যমান মাড়াই কল বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। চলনবিল অধ্যুষিত এলাকা গুরুদাসপুর। ধানের চাষ হয় অনেক বেশি। প্রায় চাষিদের এখন ধান-কাঁটা-মাড়াইয়ের ব্যস্ততা চলছে। যে সকল চাষিরা অল্প জমি চাষ করেছিলেন তাদের প্রায় ধান-কাটা মাড়াই শেষ। এখন তারা ধান মাড়াই করে চাউল মাড়াই করতে ব্যস্ত।

চাউল মাড়াই কল
ভ্রাম্যমান চাউল মাড়াই কল

কেননা গত বছরের চাউল তো প্রায় শেষ। নতুন বছর আবার শুরু হলো। তাই নতুন ধানের চাউল দিয়েই নতুন বছর শুরু করতে হবে। চলনবিল গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে রয়েছে চাউল মাড়াই করা মিল কারখানা। সেখানে যেতেও অনেক সময় লাগে আবার অনেক বিরম্বনায়ও পরতে হয়। এই মেশিন দিয়ে খুব সহজেই খুব দ্রুত ধান ভাঙ্গানো যায়।

সরেজমীনে গিয়ে দেখা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন বাড়িতে শুরু হয়েছে ভ্রাম্যমান মেশিন দিয়ে চাউল মাড়াই করা। খরচ কম হওয়ায় বাড়িতেই ভাঙ্গানো হচ্ছে ধান। চাষিদের বাড়ির উঠানেই ভ্রাম্যমান চাউল মাড়াই মেশিন দিয়ে চাউল মাড়াই করা হচ্ছে।

উপজেলার খুবজীপুর গ্রামের একজন চাষি বলেন, আমরা আগে বাজারে যেতাম ধান ভাঙ্গাতে। কিন্তু ভ্রাম্যমান মেশিন আশার পরে আর আমাদের বাজারে যেতে হয় না। কেননা বাজারের চেয়ে বাড়িতে চাউল মাড়াই করলে আমাদের খরচ ও কষ্ট দুটোই অনেক কম হয়। বেশি ধান মাড়াই করতে বাজারে গেলে অতিরিক্ত শ্রমিক দরকার হয়। এখন ভ্রাম্যমান মেশিন দিয়ে বাড়ির উঠানেই মাড়াই করি। পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা করলেই হয়ে যায়।

চাউল মাড়াই মেশিনের ড্রাইভার পিবিএকে বলেন, আমি বিভিন্ন এলাকার রাস্তা দিয়ে মেশিন নিয়ে যাই। যাদের ভাঙ্গানো দরকার তারা আমাকে ডেকে নেয়। তখন তার বাড়িতে মেশিন রেখে মাড়াই করি। কারন আমার মেশিনটি ইঞ্জিন চালিত। শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে আমার গাড়িটা চলে। আর সেই গাড়ির ওপর রাখা আছে মাড়াই কল।

প্রতি মণ ধান মাড়াই করলে পাই ৩০ টাকা করে। তবে বাজারে গেলে চাষিরা ২০-২৫ টাকা করেও পাবে। কিন্তু তাদের যাতায়াত খরচ, শ্রমিক খরচ দিয়ে আমার চেয়ে বেশি খরচ পড়ে যায়। তাই চাষিরা সল্প সময়ে, অল্প খরচে আমাদের ভ্রাম্যমান মাড়াই কল দিয়ে ধান-চউল মাড়াই করে।

পিবিএ/এনএইচএন/আরআই

আরও পড়ুন...