খুলনায় ফণী’র প্রভাবে বাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ

পিবিএ,খুলনা: খুলনার উপকূলীয় এলাকা নদ-নদীতে দুপুরের জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে দমকা বাতাস ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে জেলার কয়রা উপজেলার কয়েক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এলাকাবাসি স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের ওপরে মাটি ফেলে সাময়িকভাবে পানি প্রবেশ বন্ধের চেষ্টা করছে।

ফণী
বাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিমুল কুমার সাহা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরের জোয়ারে স্থানীয় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়রা সদও ইউনিয়নের হরিণখোলা এলাকা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালি, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শেখেরকোণা এলাকায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এসব স্থানে এলাকাবাসি পানি প্রবেশ বন্ধের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে রাতের জোয়ারে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাঁধ ছাপিয়ে যেসব স্থানে নদীর পানি প্রবেশ করেছে সেসব এলাকা থেকে আগেই লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষেতের ফসল ও ঘেরের মাছের ক্ষতি হয়েছে।

সকালেও খুলনা অঞ্চলে রোদ ছিল। এলাকার মানুষ অনেকেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাইছিলেন না। প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেও তাদের নিতে পারছিলেন না। দুপুেের দিকে আকাশে মেঘ ঘনিয়ে আসতে ও বাতাস বইতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের গতিও বাড়তে থাকে। এ মুহুর্তে কয়রাসহ জেলার দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা-৬ আসনের সাংসদ মোঃ আখতারুজ্জামান বাবু কয়রা উপজেলায় অবস্থান করছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় আ.লীগের নেতা কর্মীসহ, সিপিবি’র সদস্য, অন্যন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সাথে কয়েকটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

খুলনা আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানিয়েছেন, ফণির অগ্রভাগের প্রভাব পড়েছে উপকূলীয় এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে দেশের যে কয়টি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হবে তার মধ্যে কয়রা একটি।

পিবিএ/এইচআর/আরআই

আরও পড়ুন...