মৃত্যুর আগে ভিডিও কলে কথা বলেন রফিকুল

পিবিএ, কুষ্টিয়া: সৌদি আরবের সাকরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের মধ্যে রফিকুল ইসলামের বাডাদি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায়।

নিহত রফিকুল ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তার ১৫ ও ১০ বছর বয়সী দুই মেয়ে ও ৪ বছরের এক ছেলে রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে বাকরুদ্ধ স্ত্রী হিরা খাতুন। দুই বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে বারবার মাটিতে আছড়ে পড়ছেন তিনি। মায়ের পাশে বাবার শোকে স্তব্ধ দুই মেয়ে। নিহত রফিকুলের স্ত্রী হিরা খাতুন জানান, চলতি বছরের ২৪ মার্চ রফিকুল সৌদি আরবে যায়। মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগেও পরিবারের সঙ্গে ভিডিওকলের মাধ্যমে কথা হয় রফিকুলের।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সৌদি আরবে একই গাড়িতে থাকা সহকর্মী রাশিদুলের স্ত্রীর মাধ্যমে তারা জানতে পারে রফিকুল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় রাশিদুলও গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত রাশিদুলের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াাদহ ইউনিয়নে।
উল্লেখ্য, নিহত রফিকুল ইসলাম ও আহত রাশিদুল ইসলাম সৌদি আরবের দাম্মামের আল হাবিব ক্যাটারিং সার্ভিসকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দাম্মাম থেকে মদিনায় হজরত মুহম্মদের (সা.) রওজা জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন। পথে মধ্যে রিয়াদ থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে সাকরা এলাকায গাড়ির চাকা ফেটে একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ বাংলাদেশি নিহত হন।

পিবিএ/কেএস/হক

আরও পড়ুন...