পিবিএ,নওগাঁ: দেশের অন্যতম খাদ্য ভান্ডার নওগাঁয় চলতি মৌসুমের পাকা আধাপাকা বোরো ধান অতি তাড়াতাড়ি কেটে ফেলার জন্য জেলার ১১ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গত দু দিন ধরে মাইকিং করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। মাইকিং ৮০ ভাগ ধান পেঁকে থাকলে তা কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
তবে জেলার বোরো চাষিরা বলছেন,কৃষি বিভাগ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিলেও শ্রমিক সংকটের কারনে তারা ধানকাটতে পারছেননা। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ধান মাঠে রয়েছে। পাকা আধাপাকা বোরো ধান ঘুর্ণিঝড় ফণীর তান্ডবে ধান ঝড়ে যাওয়াসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হযেছে।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরা ধানের চাষ করা হয়েছে। ধানের ফলন ভাল। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলার ১১ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গত দু দিন ধরে মাইকিং করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে শ্রমিক সংকটের কারনে মাঠ থেকে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেননা কৃষকরা।
জেলায় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মাঠ থেকে বোরো ধান কাটতে পারেননি চাষিরা। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টি হলে শ্রমিক মজুরী বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হবে বলেও জানান চাষিরা। নওগাঁ সদরের বরুনকান্দি এলাকার বোরো চাষি সোয়াইব হোসেন জানান, কৃষি বিভাগ মাইকিং করেছে ধান ৮০ ভাগ পাঁকলে কেটে নেয়ার জন্য।
রানীনগর উপজেলার বোদলা গ্রামের বোরো চাষি সাইদুর রহমান মুহুরী বলেন, এমনিতেই প্রতিবিঘা জমির বোরো ধান কাটতে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। আর ঝড়-বৃষ্টির কারনে কাঁদা পানি থেকে ধান কাটতে প্রতিবিঘায় শ্রমিক মজুরী পড়বে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
বদলগাছি সদরের কৃষক আব্দুল জব্বার জানান, তার ৩ বিঘা জমিসহ মাঠে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান কাটার অপেক্ষায়। একমাত্র আল্লাহই পারেন আমাদের জানমাল ও মাঠের ধান ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে।
পিবিএ/আর/আরআই