পাকুন্দিয়ার জুয়েলের বাড়িতে শোকের মাতম

পিবিএ, কিশোরগঞ্জ: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জুয়েলের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। জুয়েল কিশোগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সৌদিআরবে দাম্মাম থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে সাকরা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জুয়েল গত ২৭মার্চ সৌদিআরব যান। সেখানে তিনি সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে আল হাবিব কোম্পানির অধীনে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ১৭জন শ্রমিক সৌদি আরবের দাম্মাম থেকে মদিনায় যাচ্ছিলেন। রিয়াদের কাছাকাছি সাকরা নামকস্থানে তাদের বহনকারী মিনিবাসের চাকা ফেটে খাদে পড়ে গেলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১০জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জুয়েল। শুক্রবার জুয়েলের মৃত্যুর সংবাদ পরিবারের কাছে পৌঁছলে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

জুয়েলের স্ত্রী নাজমা জানান, তার নুসরাত জাহান জ্যোতি (৯) ও ইসরাত জাহান ইভা (৫) নামে দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। বাপের বাড়ি থেকে ধারদেনা করে ৩লাখ ৭০হাজার টাকা সংগ্রহ করে তার স্বামীকে সৌদিআরবে পাঠান। স্বামীর মৃত্যুতে তিনি দুই কন্যাসন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তিনি আরও জানান, কাজে যাওয়ার আগে বন্ধুর মুঠোফোনে তার স্বামী তাকে বলেন, ‘কাজে যাচ্ছি। জ্যোতি ও ইভাকে দেখে রেখ।’ এটাই হলো স্বামীর সঙ্গে আমার শেষ কথা।

জুয়েলের পিতা গিয়াস উদ্দিন জানান, দুই কন্যা সন্তানের দিকে চেয়ে অনেক কষ্ট করে ধারদেনা করে টাকা সংগ্রহ করে একটু সুখের আশায় সে বিদেশে গেছে। সুখ আর তার কপালে সইল না। তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছেন।

পিবিএ/এসএইচ/হক

আরও পড়ুন...